আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না : প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চুরি ও দুর্নীতির কারণে দেশবাসী বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। কাজেই আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না।
আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমণ্ডির কলাবাগান মাঠে নির্বাচনি জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করে। আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য আমরাই লড়াই করেছি। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০১ সালে আমরাই শান্তিপূর্ণভাবে প্রথম ক্ষমতা হস্তান্তর করে নজির স্থাপন করেছি। অথচ ওই নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও লুটপাটের নৈরাজ্য কায়েম করে। বিএনপির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করি। অথচ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে আমাকেই প্রথম গ্রেপ্তার করে।
ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধানমণ্ডি নিয়ে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমাদের বাড়ি আক্রমণ করে আমার মা বাবা ও ভাইদের হত্যা করা হয়। আমার বাবা কল্পনাও করতে পারেননি, তাকে এ দেশের মানুষ হত্যা করতে পারে। আমি দেশে ফিরে এলেও আমাকে ওই বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দেশে ফিরে পরিবারের সদস্যদের পাইনি, আমি পেয়েছিলাম মানুষের ভালোবাসা ও আদর-স্নেহ।
দেশের উন্নয়নের বিবরণ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করেছি। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। মানুষ এখন চিকিৎসা পাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস আর মানুষ খুন, এগুলোই হচ্ছে বিএনপির আসল গুণ। লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমান ক্যাসিনো খেলে জুয়া খেলে টাকা কামাই করছে। লন্ডন থেকে সে (তারেক রহমান) হুকুম দিচ্ছে, আর বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশে সন্ত্রাস করছে।
নির্বাচনি এ জনসভায় আগামীতে ক্ষমতায় এলে সরকারের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে এবং উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে কর্মপরিকল্পনা করেছি। আগামীতে ক্ষমতায় আসতে পারলে আমরা এগুলো সম্পন্ন করবো।
সরকারের উদ্দেশ্য তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা মানুষের জীবনকে নিরাপদ ও নগরজীবনের দুর্ভোগ কমাতেও অনেকগুলো পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশকে আরও উন্নত করা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও সমাবেশের মঞ্চে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ ঢাকার বিভিন্ন আসনের নৌকা মার্কার প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।