আচরণবিধি লঙ্ঘন : নৌকার প্রার্থীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) শৈলকুপা আমলি আদালত (চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত) এ আদেশ জারি করেন। বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদি শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তায়জুল ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলেন—ঝিনাইদহ-১ শৈলকুপা আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাই, তার অনুসারি শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ও সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন।
সূত্র জানায়, ২৪ ডিসেম্বর শৈলকুপা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক দুটি নিয়মিত মামলা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তায়জুল ইসলাম। এদিন আদালত কোনো আদেশ দেননি। মামলা করার দুদিন পর ২৬ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। আদেশে ৩ জানুয়ারি আসামিদের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্র আরও জানায়, বুধবার আসামিরা আদালতে হাজির হননি। তাই সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের আচরণবিধি লাগাম টেনে ধরতে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আমলযোগ্য অপরাধ হিসেবে গ্রহণ করে আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা পৃথক দুটি পত্রে ২২ ডিসেম্বর অভিযুক্ত ঝিনাইদহ-১ শৈলকুপা আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাই, তার অনুসারি শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ও সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
মামলার অভিযোগে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে দেশিয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজারে হাটের দিনে (১০ ডিসেম্বর) মহাসড়কে মহড়া ও জনমনে ভীতি সঞ্চার করার গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। অপর মামলায় হাইয়ের অনুসারি শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ও উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুনকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি এজেন্টদের হুমকি প্রদান ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।