নওগাঁ-২ আসনে পাঁচ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন ঘিরে পাঁচ দিনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। গতকাল সোমবার (২৯ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মাজহারুল ইসলাম এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নওগাঁ-২ আসনে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচনি এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ভোটগ্রহণের আগের দুদিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দুদিনসহ মোট পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সংখ্যক র্যাব এবং প্রতি উপজেলায় চার প্লাটুন করে মোট আট প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। সেদিন ২৯৯ আসনে ভোট হলেও নওগাঁ-২ আসনে ভোট হয়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের মৃত্যু হওয়ায় নওগাঁর এই আসনটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছিল ইসি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০০৬ সালে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। এ ছাড়া তিনি ১৯৮৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একাধিকবার পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ আসন থেকে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন আমিনুল হক। তা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনও রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্রে বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে প্রার্থিতা বাতিল করেন। পরবর্তীকালে আমিনুল হক প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আমিনুল হকের প্রার্থিতা বৈধ বলে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের পর নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাকে ঈগল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরের দিনই রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান তিনি। আমিনুল হকের মৃত্যুর পর আসনটির ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।