আফগানিস্তানে অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন চায় বাংলাদেশ
আফগানিস্তানে অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন প্রত্যাশা করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জরুরি বৈঠকে তিনি এ প্রত্যাশা করেন।
মাসুদ বিন মোমেনের প্রত্যাশা—আফগানিস্তানে অংশগ্রহণমূলক আর্থসামাজিক উন্নয়ন নির্বিঘ্নে চলবে। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের সব স্তরের মানুষ দেশটির সংস্কার ও আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখার প্রক্রিয়ায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন।
গতকাল রোববার ইসলামাবাদে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি অধিবেশন হয়। এতে মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন। আজ সোমবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওআইসির জরুরি বৈঠকে মানবিক সহায়তার আওতায় আফগানিস্তানকে খাবার ও ওষুধ সরবরাহের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাবার, আশ্রয়, সামাজিক সেবার ব্যাপক সংকট থাকার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন মাসুদ বিন মোমেন।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, শীত ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তানের মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও আঞ্চলিক শান্তির স্বার্থে অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নের ওপর জোর দেন তিনি।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আফগানিস্তানের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশীদার হতে পারে বাংলাদেশ। কারণ, এ অঞ্চলের অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে চায়।
আফগানিস্তানের ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রের জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকটি ডাকা হয়।