পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ে পাইলট হিসেবে যোগ দিচ্ছেন চার এএসপি
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/03/21/police.jpg)
পুলিশের নবগঠিত এভিয়েশন উইংয়ে পাইলট হিসেবে নারীসহ চার জন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
পুলিশের চারজন প্রশিক্ষণার্থী এরই মধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন। প্রশিক্ষণে তাঁরা একক উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। তারা পাইলট হিসেবে পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ে যোগ দেবেন।
পুলিশ সদরদপ্তরের হল অব প্রাইডে আজ সোমবার সকালে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান আইজিপি। আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের গ্রুপ কমান্ডার মেজর জেনারেল আই কে এম মোস্তাহসিনুল বাকীর নেতৃত্বে আর্মি এভিয়েশন স্কুলের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আইজিপির এই মতবিনিময় হয়।
পুলিশের এভিয়েশন উইং চালুর অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘এভিয়েশন উইং চালুর ফলে পুলিশ ত্রিমাত্রিক ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে। পুলিশের নবগঠিত এভিয়েশন উইং দুর্গম অঞ্চলে দ্রুত যোগাযোগ, গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা, তল্লাশি অভিযান এবং উদ্ধার কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে।
আইজিপি আরও বলেন, ‘পুলিশের নবগঠিত এভিয়েশন উইংয়ের পাইলটদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ক্ষেত্রে আর্মি এভিয়েশন স্কুল বিশেষ ভূমিকা রাখছে। পুলিশের সাথে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ করে সেনাবাহিনীর পেশাগত সুসম্পর্ক ও সহযোগিতা রয়েছে। আগামীতে এ ধরনের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বাড়বে এবং সুসংহত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। দেশের যে কোনো প্রয়োজন ও সংকটে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার এক সুদীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে।’
নিরাপত্তাকে অক্সিজেনের সঙ্গে তুলনা করে আইজিপি বলেন, ‘অক্সিজেন ছাড়া যেমন কোনো মানুষ বাঁচতে পারে না তেমনি নিরাপত্তা ছাড়া একটি সমাজ বা রাষ্ট্র কল্পনা করা যায় না। পুলিশ দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে নিয়োজিত রয়েছে। দেশ ও জনগণের প্রয়োজনে যখন যা করা দরকার তাই করা হবে।’
আর্মি এভিয়েশন স্কুলে হেলিকপ্টার চালনায় বর্তমানে বিভিন্ন বাহিনীর দশ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে চারজন পুলিশের সদস্য রয়েছে। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে পুলিশের প্রশিক্ষণার্থী এএসপি ফাতেমা তুজ জোহরা সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিআইজি (লজিস্টিকস) মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরী বক্তব্য দেন। প্রশিক্ষণের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন সহকারী পুলিশ সুপার ফাতেমা তুজ জোহরা।