এসআইয়ের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ, লাশ নিয়ে বিক্ষোভ
চট্টগ্রামের হালিশহরের শান্তিবাগ এলাকায় উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান জাবেদের বিরুদ্ধে স্ত্রী ফাতেমা আক্তার কলিকে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। গতকাল শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে স্বজনরা কলির লাশ নিয়ে নোয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
মিছিলে নিহত কলির পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় লোকজন অংশগ্রহণ করে। এর আগে গতকাল রাতে চট্টগ্রাম থেকে কলির লাশ গ্রামের বাড়ি নিয়ে এলে এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। স্বজনদের কান্নায় এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে নিহত কলির স্বজন ও এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এসআই জাবেদ ও নিহত কলি দুজনেই নোয়াখালীর বাসিন্দা। জাবেদ সদর উপজেলার বিনোদপুরের বাসিন্দা এবং কলি কাদির হানিফ ইউনিয়নের বাসিন্দা। ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের দুই আড়াই বছর পর থেকে জাবেদ অন্য কারো সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর থেকে কলিকে প্রায় সময়ই মারধর করতেন। এ নিয়ে একাধিকবার পারিবারিক বৈঠকও হয়েছে। স্বামীর পরকীয়া ও ইয়াবা নিয়ে অবৈধ উপার্জনের বিষয়ে একাধিকবার স্ত্রী নিষেধ করলেও তার কথায় কর্ণপাত করতেন না। এ সময় স্ত্রী বাধা দিলে তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। গতকাল এই রকমভাবে কলিকে শারীরিক নির্যাতন করলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে মারা যান।
নিহত কলির বাবা অভিযোগ করেন, কলির স্বামী ও তার এক বন্ধু বাদশা মিলে তাকে ব্যাপক নির্যাতন করেন। এর ফলে কলি মারা যাণ। এ বিষয়ে স্থানীয় হালিশহর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন কলির বাবা আহছান উল্যাহ।
মিছিল শেষে সমাবেশে স্বজনরা কলি হত্যার বিচার দাবিতে নানা স্লোগান দেন। এ সময় তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জাবেদকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
জানতে চাইলে চট্টগ্রামের হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল-মামুন জানান, একটি অভিযোগ তারা পেয়েছেন, এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।