কুষ্টিয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ৪, আটক ১০
কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে আরও ১০ জন আহত হয়েছে। সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্তানগর গ্রামে ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানাধীন ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্তানগর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে কাশেম (৫০), মো. দাদ মন্ডলের ছেলে লাল্টু (৩০), আবুল মালিথার ছেলে রহিম (৫০) ও মো. আফজাল মন্ডলের ছেলে মতিয়ার (৪০)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কেরামত ও ফজলু মন্ডল গ্রুপের মধ্যে কোন্দল চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার বিকেলে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কেরামত ও ফজলু মন্ডল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে রহিম মালিথা ঘটনাস্থলে মারা যায়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর মতিয়ার, লাল্টু, ও কাশেমের মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মওলা বিশ্বাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান কেরামত আলী বিশ্বাসের সাথে ফজলু মন্ডলের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে আজ সোমবার সন্ধ্যার আগে কেরামত আলী বিশ্বাসের লোকজন ফজলু মন্ডলের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর উভয় গ্রুপের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘটনাস্থলেই উভয় পক্ষের চারজন নিহত হয়। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০জনকে আটক করা হয়েছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অন্তত ১৫ আহত হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন মুহূর্তে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কায় আতঙ্কিত এলাকার সাধারণ মানুষ।