স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে অবমুক্ত করা হলো বন বিড়ালের ছানাগুলো
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/05/18/shariatpur-pic-bag.jpg)
শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের দেওয়ানকান্দি গ্রামে ঘাসখেত থেকে ধরা হয় বন বিড়ালের পাঁচটি ছানা। এগুলো খুবই ছোট থাকায় প্রাণিসম্পদ অফিস তা লালন পালন করতে পারবে না জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বন কর্মকর্তা পুনরায় একই স্থানে ছানাগুলোকে অবমুক্ত করেন।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার গোপালপুর দেওয়ানকান্দি এলাকার স্থানীয় লালন মাদবর গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে দেখতে পান বনবিড়ালের ছানাগুলো। প্রথমে বিড়াল ছানা ভেবে ধরতে গেলে, মা বনবিড়াল ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করতে আসে। লালনের ডাক চিৎকার শুনে লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে আসেন গ্রামের লোকজন। লোকজন দেখে মা বন বিড়াল পালিয়ে যায়, ছানাগুলো সেখানেই রয়ে যায়। আটকের পর বাচ্চা বনবিড়ালগুলো বাড়ি নিয়ে যান স্থানীয়রা। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী নুর আলম মাতবর বিড়াল ছানাগুলোকে নিয়ে যান জাজিরা উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, ‘বন বিড়ালের বাচ্চাগুলো আমার হাতে তুলে দিলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায়, তারা সুস্থ আছে। কিন্তু বাচ্চাগুলো এতই ছোট যে, তা লালনপালন করা সম্ভব নয়। তাই যেখান থেকে বাচ্চাগুলো ধরা হয়েছে, সেখানে আবার অবমুক্ত করে দিয়েছি।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. আতিকুর রহমান বলেন, ‘বন বিড়ালের ছানাগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখেছি, সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। তবে, বাচ্চাগুলো এত ছোট যে তা আমাদের লালন-পালন করা সম্ভব নয়। এগুলো লালন-পালন করতে খুলনায় পাঠাতে হবে। সেখানে নিতে নিতেই বাচ্চাগুলো অসুস্থ হতে পারে বা মারাও যেতে পারে। আমরা ঢাকাসহ বিভিন্ন প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেখান থেকে বাচ্চাগুলো ধরা হয়েছে, সেখানেই অবমুক্ত করা উচিত। যাতে মা তার বাচ্চাগুলোকে লালন পালন করতে পারে।’