করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সরকারের ৬ নির্দেশনা
গত বেশ কয়েকদিন ধরে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। এই প্রেক্ষাপটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ মেনে চলা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে ছয়টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিককালে সারা দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ও জনগণের মধ্যে মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে যথেষ্ট শৈথিল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে মর্মে সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা হচ্ছে। কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির গত ১৪ জুন অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত সুপারিশ প্রতিপালনের জন্য এবং কোভিড প্রতিরোধকল্পে নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হলো।’
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে সব গণমাধ্যমে অনুরোধ জানাতে হবে।
২. সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে।
৩. ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানগুলো (যেমন-মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৪. জ্বর, সর্দি, কাশি বা কোডিড ১৯ এর উপসর্গ দেখা দিলে কোভিড টেস্ট করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
৫. দোকান, শপিংমল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল-রেস্টুরেন্ট সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
৬. স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজে খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন।
করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৮৭ জন। এতে শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশে।
অপরদিকে রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ বলেছেন বলেছেন, আমরা ৫ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের করোনার টিকার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছি। খুব শিগগিরই এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করবো। করোনা একেবারে নির্মূল হয়ে যায়নি। নতুন করে এখন আবার সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। এ অবস্থাই সবাইকে আরও বেশি সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।