সরকারের পতন হওয়ার পর প্রতিটি হত্যার বিচার হবে : মির্জা আব্বাস
বর্তমান সরকারের পতন হওয়ার পর প্রতিটি হত্যার বিচার হবে-এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকতে চান রাজপথে আসেন, আপনারাও থাকেন আমরাও থাকব। বাহাদুরের বাচ্চার মতো আসেন। পুলিশ ছাড়া আসেন দেখি কার কত বাহাদুরি আছে। লগি বৈঠা নিয়ে আসেন। মোকাবিলা করবো। কিন্তু পুলিশ নিয়ে বন্দুক নিয়ে আসবেন। এখানে কথা আছে, তাহলে আমাদেরও লাইসেন্স দেন। পৃথিবীর বহু দেশে আছে। আমাদের লাইসেন্স দেন, বন্দুক দিয়ে বন্দুকের মোকাবিলা করবো। লাইসেন্সবিহীন অবৈধ বন্দুক দিয়ে নয়। ইনশাল্লাহ আমরা জয় লাভ করবো। আপনারা বন্দুক নিয়ে আসবেন আর আমরা বুক পেতে দিবে এমনটা নয়। লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র দিয়ে গুলি করবেন না। গুলি করেছেন লাইসেন্স বিহীন অস্ত্র দিয়ে। বিচার হবে, সব ঘটনার বিচার হবে। সরকারের পতন হওয়ার পর প্রতিটি হত্যার বিচার হবে।
আজ রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জে যুবদলের কর্মী মো. শাওনের হত্যা প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় যুবদল।
মির্জা আব্বাস বলেন, দ্রব্যমূ্ল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমাদের প্রতিবাদ সভা ছিল। রহিম, নূরে আলমকে গুলি করে মারল। এরপর নারায়ণগঞ্জে শাওনকে গুলি করে মারল। এখন প্রতিবাদে সারা দেশে গোলাগুলি হচ্ছে। আমাদের আন্দোলনটা সরকার পতনের জন্য ছিল না। এই সরকার হত্যাকাণ্ড ও খুনের মাধ্যমে টিকে থাকতে চায়। ক্ষমতায় থাকলে লুট করা যায়। মানুষের ওপর অত্যাচার করা যায়। আজকে যে হত্যাকাণ্ড হচ্ছে এ ধরনের একটা হত্যাকাণ্ডই যথেষ্ট সরকারের পতনের জন্য। যে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছেন এটা তো যুদ্ধাস্ত্র। এটা পুলিশের হাতে গেল কি করে? আমার টাকায় যে পুলিশ চলে, আমার গায়ে হাত দেওয়ার তার কোনো ক্ষমতা নাই। বিনা বিচারে কাউকে হত্যা করা যাবে না। বিনা বিচারে কাউকে সাজা দেওয়া যাবে না।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই, কারো নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই। নিজেরাই কর্মসূচি বানান, নিজেদের পরিকল্পনা করুন। যেখানেই অত্যাচার সেখানেই প্রতিরোধ করবেন। ছড়িয়ে দেন সারা দেশে। ৫৬ হাজার মাইলে কত গুলি ওরা করতে পারেন, আর আপনারা কতটা প্রতিরোধ করতে পারেন।
তিনি বলেন, পুলিশের বিচার এই সরকার করতে পারবে না। কারণ পুলিশির উপর ভর করে এই সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে।
সভাপতির বক্তব্যে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু বলেন, শাওন হত্যার প্রতিবাদে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে মহানগরে, ৮ সেপ্টেম্বর জেলায় জেলায় শোক র্যালি করবো। ১০ সেপ্টেম্বর সারা দেশে পৌর সভা ও উপজেলায় শোক র্যালি করবো যুবদল। এই কর্মসূচির পর এক দফার আন্দোলনে যাব। যুব আন্দোলনের মাধ্যম এই সরকার পতন ঘটাব।
সমাবেশে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবসহ সংগঠনের নেতারা।