জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চায় : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কখন বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবন পেল আর কখন দেশের মানুষ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতির কবলে পড়ে মানুষের জীবন মান সম্পূর্ণ ধ্বংসের পথে নিয়ে গিয়েছিল, সেটা সকলকে স্মরণ করে সেই তুলনা করেই জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা কী চান।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১০০টি সড়ক ও মহাসড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শুনতে হয় আওয়ামী লীগ সরকার দেশটা ধ্বংস করে দিয়েছে। এর আগে ১০০টা সেতু আমরা একই সাথে উদ্বোধন করলাম আর আজকে আমরা ১০০টা মহাসড়ক নির্মাণ বা উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন করলাম। এরপরে যারা বলে আওয়ামী লীগ সরকারে এসে দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে, কিছুই নাকি করে নাই, কাজেই দেশের মানুষ তাদের কথা বিশ্বাস করবে কি না সেটাই আমার প্রশ্ন।’
শত সড়ক-মহাসড়ক খুলে দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজয়ের মাসে এটা আমার পক্ষ থেকে জাতির জন্য উপহার। আওয়ামী লীগ সরকার ও অন্যান্য সরকারের আমলের তুলনা করে জনগণকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা এদেশের মানুষের শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। বিভিন্ন সময় নানা বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও তাঁর সরকার লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন। মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী সড়কের সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশে আর কোনো রাস্তা বাকি নেই। এই ১০০ সড়ক ও মহাসড়ক নির্মাণ এবং আগে যেগুলো করা হয়েছিল সেগুলো উন্নতমানের করা হলো। কাজেই এর মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদে সড়ক যাতায়াতের একটা বড় সুবিধা হবে। যাতে অর্থনৈতিকভাবে সকল অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত লাভবান হবে।’
আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে যোগাযোগের ক্ষেত্রটাকে সব থেকে গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুধু সড়ক যোগাযোগ নয় সড়ক পথ, রেলপথ, নদীপথ এবং বিমান প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই আমরা উন্নয়ন করে যাচ্ছি। জাতীয় সড়ক মহাসড়কের বাইরেও উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যন্ত রাস্তা ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে পায়ে চলার পথগুলোও আমরা উন্নত করে দিচ্ছি। সমগ্র গ্রাম পর্যায়েও যোগাযোগের একটা নেটওয়ার্ক আমরা গড়ে তুলেছি। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি যেমন হয়েছে তেমনি চলাচলের সুযোগটাও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে চাইলে সর্বোচ্চ ৬/৭ ঘণ্টার মধ্যে মানুষ রাজধানীতে আসতে পারছে।’
কোনো দুর্ঘটনা হলে যিনি দুর্ঘটনা কবলিত অনেক সময় জনগণ তাকে সাহায্য না করে গাড়ির চালককে মারধর করা শুরু করে এবং গণপিটুনিতে গাড়িচালক মারা যায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই কাজটা কেউ দয়া করে করবেন না। কেউ ইচ্ছা করে মানুষকে মারে না বা ইচ্ছা করে ধাক্কা দেয় না। যদি অপরাধ করে আপনারা ধরেন, পুলিশে দিয়ে দেন, তার বিচার হবে। আমরা সড়ক আইনও করে দিয়েছি এটা বিচারের জন্য।’