গোটা দেশ এখন কারাগার : মঈন খান
গোটা দেশ এখন কারাগার—এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘ক্ষমতায় থাকার নেশা পেয়ে বসলে সরকার এমন একটি পর্যায়ে উপনীত হয় যে, দেশের মানুষের কথা ভুলে যায়। তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য খুন, গুম ও অত্যাচার শুরু করে। বাংলাদেশে এখন সেই পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের অন্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে রাশেদ ইকবাল খান মুক্তি পরিষদ। রাশেদ ইকবাল খান ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। যিনি গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সভায় ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘আমরা বিরোধী দলের রাজনীতি করি। আমরা সরকারের বিরোধী নই, সরকারের অন্যায়ের বিরোধী। সংবিধান বলে, সরকারের ভুল কাজে জবাবদিহি নিশ্চিত করা বিরোধী দলের কাজ। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। কিন্তু সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে বিরোধী দলকে নিঃশেষ করতে চায়।’
মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র হচ্ছে—তারা কথা বলতে চায়, চিন্তার স্বাধীনতা চায়। স্বাধীনতার এত বছর পরও কি আমরা তা অর্জন করেছি? এই প্রশ্ন তরুণ প্রজন্মকে করতে হবে। যে দল গণতন্ত্র চায় না, তারা কীভাবে স্বাধীনতার পক্ষের হতে পারে? আওয়ামী লীগ বলে, বিএনপিতে মানুষের আস্থা নেই। তাহলে ১০টি বিভাগীয় গণসমাবেশ কীভাবে সফল হয়েছে?’
এ সময় বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম বলেন, ‘দেশে এখন আইনের শাসন নেই। একই সময় একই মামলায় কেউ জামিন পায়, কেউ জামিন পায় না। এর মাধ্যমে আমাদের মধ্যে ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। এই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না।’
নাসির উদ্দিন অসীম বলেন, ‘আমরা আমাদের দলের প্রধানসহ শীর্ষ নেতাদের মুক্ত করতে পারিনি। যেদিন মুক্ত করতে পারব, তখন গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। সরকারের পতন হবে।’