নিজের সেই ভাস্কর্য ঘিরে আবারও আলোচনায় হিরো আলম
নিজের ভাস্কর্যের সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে আবারও আলোচনার জন্ম দিয়েছেন হিরো আলম। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ছবিটি পোস্ট করেন তিনি। এরপর সেটি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
ভাস্কর্যটির বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, চার বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের উত্তম কুমার নামে এক শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ কাজের অংশ হিসেবে হিরো আলমের ওই ভাস্কর্য তৈরি করেছিলেন। তখনও বিষয়টি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবার হিরো আলম ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হলো আমার ভাস্কর্য।’
হিরো আলমের এই ফেসবুক পোস্ট ১৬ ঘণ্টার মাথায় ১ লাখ ১৮ হাজার রিয়েকশন, ৭ হাজার ২০০ মন্তব্য এবং প্রায় এক হাজার বার শেয়ার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাষ্কর্যটির নির্মাতা ঢাবি শিক্ষার্থী উত্তম কুমার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিষয়টা আসলে অনেক আগের। কিন্তু, হঠাৎ করে তিনি (হিরো আলম) আবার তা সামনে এনেছেন। তিনি হয়তো ওই ছবি পোস্ট করে স্মৃতিচারণা করেছেন।’
বিষয়টি নিয়ে আবার আলোচনা-সমালোচনা চান না বলে জানিয়ে উত্তম কুমার বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলছি, এই ভাস্কর্যটা তাকে (হিরো আলম) বা কোনো ব্যক্তির দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তৈরি করা হয়নি। এটি ছিল শুধু আমার প্রশিক্ষণ কাজের অংশ।’
হিরো আলমের ভাষ্কর্য তৈরির গল্প তুলে ধরে উত্তম কুমার বলেন, ‘যখন ছাত্র ছিলাম তখন আমার প্র্যাকটিস ওয়ার্ক হিসেবে হিরো আলমের ভাস্কর্যটা তৈরি করেছিলাম। কারণ, তিনিও আর্টের একটা ক্যারেক্টার হতে পারেন। ভাষ্কর্যটা বানানোর পর আমার ফেসবুক ওয়ালে এটার ছবি তুলে আপলোড করেছিলাম। তারপর বিষয়টা ভাইরাল হয়ে যায় এবং অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়। কিন্তু আমি তার ভাস্কর্যটা প্রশিক্ষণ কাজ হিসেবে তৈরি করেছিলাম। অন্যকোনো উদ্দেশ্যে নয়।’
ভাস্কর্যটি হিরো আলমকে দেওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তম কুমার বলেন, ‘এই ভাস্কর্য আমার রুমে আছে। তিনি চাইলে নিতে পারবেন। কোনো সমস্যা নেই।’
উল্লেখ্য, উত্তম কুমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।