মানিকগঞ্জে এক রাতে ১৫ দোকানে চুরি
মানিকগঞ্জ শহর ও পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ১৫টি দোকানে চুরি হয়েছে। এ সময় দোকানের শাটার ভেঙে বেশির ভাগ দোকান থেকে নগদ অর্থ ও জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। গতকাল বুধবার (২৬ এপ্রিল) দিনগত রাতে এসব চুরির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল দিনগত রাতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান তাঁরা। পরে গভীর রাতে জেলা শহরের শহীদ রফিক সড়কের পাশে (মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন) অবস্থিত সিটি ড্রাগ হাউজ, সবুজ ফার্মেসি, মায়ের দোয়া স্টেশনারি, দেশ লাইব্রেরি, স্যামসং মুঠোফোনের শোরুমে হানা দেয় চোরেরা। এ সময় দোকানের শাটার ভেঙে সিটি ড্রাগ হাউজ থেকে তিন হাজার টাকা, সবুজ ফার্মেসি থেকে ১৬ হাজার টাকা এবং দেশ লাইব্রেরি থেকে তিন হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
একই রাতে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের সামনে গঙ্গাধরপট্টি সড়কের পাশে অবস্থিত জ্ঞানোদা স্টেশনারি, মা জেনারেল স্টোর, শিকদার কমিউনিকেশন এবং খান ভ্যারাইটিজ স্টোরে চোরেরা হানা দেয়। এ সময় একই কৌশলে দোকানের শাটার ভেঙে চোরেরা দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে।
মা জেনারেল স্টোরের মালিক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সিগারেট ও মোবাইল কার্ডসহ প্রায় এক লাখ টাকার জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।
এদিকে একই রাতে দোকানের শাটার ভেঙে শহরে সরকারি মহিলা কলেজের হোস্টেল সড়কের পাশে তমাল রাইচ এজেন্সিসহ তিন দোকানে এবং গঙ্গাধরপট্টি সার্বজনীন দুর্গামন্দিরের সামনে সন্তোষের দোকানে হানা দেয় চোরেরা। এসব দোকান থেকে অর্থ ও জিনিসপত্র চুরি করা হয়।
এ ছাড়া একই রাতে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের অদূরে পৌর এলাকার জয়রা সড়কে জুমা স্টোর নামের একটি মনিহারি দোকানের শাটার ভেঙে ভেতরে ঢোকে চোরেরা।
দোকানের মালিক সুজন হোসেনের কাকা খোকন মিয়া বলেন, চোরেরা তাঁর ভাতিজার দোকানের শাটার ভেঙে এক হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে।
এ ছাড়া পৌর এলাকার মানরা এলাকায় মো. বাবুর স্টেশনারি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দোকান থেকে সিগারেট ও মুঠোফোনের সিমকার্ড চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।
এক রাতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই গণচুরির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা বলেন, শহরে চুরির ঘটনাস্থলের এক পাশে সদর থানা এবং অপর পাশে শহর পুলিশ ফাঁড়ি। এক রাতে এতগুলো দোকানে চুরির ঘটনা পুলিশের দায়িত্বহীনতার কারণেই ঘটেছে। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, ‘শহর ফাঁড়ির পুলিশের দায়িত্ব পালনে অনীহা রয়েছে।’
মানিকগঞ্জ টাউন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মজিবর রহমান বলেন, ‘আমরা নিয়মিত শহরে টহল দিয়ে আসছি। একই রাতে এসব চুরির ঘটনার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, ‘চুরি হওয়া অর্থ ও মালামালের পরিমাণ অল্প হলেও এতগুলো দোকানে চুরির বিষয়টি দুঃখজনক। কয়েকটি দোকানে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে চোর চক্রের সদস্যদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই চোর চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’