ঘূর্ণিঝড় মোখা : আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছে মানুষ
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র আঘাত থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ স্থান ও আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপকূলের মানুষ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিপদ সংকেত বাড়ার সঙ্গে মানুষের মাঝে বাড়ছে আতঙ্কও। উপজেলা প্রশাসন ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সদস্যরা মানুষকে নিরাপদস্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে।
আনোয়ারায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পক্ষে স্থানীয় চেয়ারম্যান আমিন শরীফ ১০টি জিপগাড়ি দিয়ে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
এদিকে, বাঁশখালীর উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোতে অবস্থানরত বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ এবং রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা মাইকিং করেছেন। উপকূলীয় ইউনিয়নের মধ্যে খানকানাবাদ ও বাহারছড়া এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে জলোচ্ছ্বাস হলেই বিশাল এলাকা সাগরের পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকার লোকজন গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। বাহারছডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাহারছডা এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার কাজ চলছে।’
মোখার ক্ষতি কমাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’