শাস্তি থেকে রেহাই, তিরস্কার পেলেন সাকিব
শাস্তি পেতে পারেন সাকিব আল হাসান, তা আগেই অনুমেয় ছিল। বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের ১৮তম ওভারের মোহাম্মদ আমিরের একটি বলে বোল্ড আউট হয়ে মাঠেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ব্যাট দিয়ে সজোরে আঘাত করেন স্টাম্পে। কাজটা ভুল হয়েছে তা বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই আম্পায়ারদের কাছে ক্ষমাও চান তিনি।
আইসিসির আচরণবিধির ২.১.৮ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে সাকিবকে। এই ধারায় অভিযুক্ত হওয়ার শাস্তি ম্যাচ ফির পঞ্চাশ শতাংশ জরিমানা। কিন্তু নিজের দোষ স্বীকার করায় জরিমানার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন তিনি। তবে ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী, তাঁকে তিরস্কার করা হয়েছে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে বাংলাদেশর জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ছিল ১৬ বলে ২৬ রান। হাতে উইকেট ছয়টি। এই সময়ে একটি উইকেট পড়া মানে দলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনা। ঠিক এই সময়ে বোল্ড আউট আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন তিনি।
অবশ্য মাঠে অসহিষ্ণু আচরণের জন্য বহুবারই সাকিবকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের দিনে আবার একটি গর্হিত কাজ করেন তিনি।
অবশ্য এদিন সাকিব ব্যর্থ হলেও পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ এশিয়া কাপে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে। দলের এমন সাফল্যের দিনে সাকিব ব্যাট হাতে ১৩ বল খেলে মাত্র আট রান করেছেন। আর চার ওভার বল করে ২৬ রান দিয়েও কোনো উইকেট নিতে পারেননি।
এর আগে এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচে সাকিব খুব একটা সাফল্য পাননি। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছেন তিন রান আর বল হাতে এক উইকেট। আর আরব আমিরাতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ১৩ রান এবং বোলিংয়ে দুই উইকেট পান তিনি। অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩২ রান ও বল হাতে ২১ রান দিয়ে দুই উইকেট ফর্মে ফেরার আভাস দিলেও পরের ম্যাচে হয়েছেন একেবারেই ব্যর্থ।
অবশ্য কিছুদিন আগে থেকেই সাবিকের পারফলম্যান্স বেশ অনুজ্জ্বল। গত বছরের শেষ দিকে বিপিএল, এ বছরের শুরুতে জিম্বাবুয়ে সিরিজ আর সদ্য-সমাপ্ত পিএসএলে তেমন ভালো খেলতে পারেননি।
গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বিপিএলের তৃতীয় আসরে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন সাকিব। বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় বল হাতে ভালো করলেও ব্যাটিংয়ে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ১১ ম্যাচে ১৮ উইকেট নেওয়া সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ১৩৬ রান।
জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট তারকার কাছ থেকে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স পায়নি বাংলাদেশ। চার ম্যাচে সব মিলিয়ে ৫৪ রান করা সাকিব কোনো রকমে পাঁচ উইকেট নিতে পেরেছিলেন। তবে বোলিং গড় (২৭.৬) আর ইকোনমি রেট (৮.৬২) দুটই ছিল তাঁর মানের বোলারের তুলনায় বেমানান।