চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ, আটক ৩০
মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতনেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা পড়তে চট্টগ্রাম নগরীতে জড়ো হওয়া জামায়াত-শিবিরকর্মীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে নগরের আলমাস সিনেমা হলের সামনে থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে কাজীর দেউড়ি মোড়, ওয়াসার মোড়, জিইসি মোড় ও লালখান বাজারসহ নগরের বিভিন্ন স্থানে তা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর ওয়াসা মোড় এলাকায় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে সাঈদীর গায়েবানা জানাজা নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিল সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এরপর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জানাজার অনুমতি ছাড়া জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের আশপাশে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বিকেল থেকে জড়ো হতে থাকে। এ সময় তারা অতর্কিত পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আমাদের পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে সেটা প্রতিরোধ করেছি। পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওয়াসা মোড় এলাকায় ফের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওয়াসার মোড়ে জামাত-শিবির কর্মীরা জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ ধাওয়া দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত শিবিরের অন্তত ৩০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেছেন, তারা সহিংসতার জন্য জড়ো হয়েছিল। জামায়াত-শিবিরের ৩০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আশপাশের থানা পুলিশও কিছু গ্রেপ্তার করতে পারে। মোট সংখ্যা এখন জানানো সম্ভব নয়। অনুমতি ছাড়া গায়েবানা জানাজা পড়তে জড়ো হওয়া জামায়াত-শিবিরকর্মীরা অতর্কিত পুলিশের ওপর হামলা চালায় বলে তিনি জানান।
এর আগে, যেকোনো ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে সাঈদীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর চট্টগ্রাম জেলা ও বন্দর নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।