স্ত্রী-পুত্র বলছেন হৃদরোগ, স্বজনদের দাবি হত্যা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/19/photo-1458367598.jpg)
গাজীপুরে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির স্ত্রী-ছেলেসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত গিয়াস উদ্দিন (৬০) সোনালী ব্যাংকের গাজীপুরের মুখ্য আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল অফিসার ছিলেন। তিনি অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে ছিলেন। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের শরীফপুর সোন্ডা এলাকার সিরাজ উদ্দিন খানের ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন নিহত গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), ছেলে শাহরিয়ার মানিক (৩০) ও শ্যালিকা পারভিন আক্তার (৪০)।
গিয়াসউদ্দিনের ছোট ভাই ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা মহিউদ্দিন খান জানান, তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শহরের বরুদা এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। টাকার জন্য স্ত্রী ও ছেলে প্রায়ই তাঁর সঙ্গে বিবাদ করত এবং মারধর করত। গতকাল রাত ৮টার দিকে গিয়াস উদ্দিন তাঁর আত্মীয়স্বজনদের মোবাইল ফোনে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী ও সন্তান মিলে তাঁকে হত্যা করতে পারে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি খবর পান যে, তাঁর ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে রাতেই গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবদুস সালাম জানান, গিয়াস উদ্দিনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল।
আজ শনিবার সকালে জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির মর্গে এসে লাশের সুরতহাল করেন। তিনি জানান, নিহতের ঘাড়ে সুই-জাতীয় বস্তুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এসআই আরো জানান, গিয়াস উদ্দীন খানের স্ত্রী ও ছেলের দাবি, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে তাঁর স্বজনদের দাবি, তাঁকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন না তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
গিয়াসউদ্দিনের ভাই ও অন্য স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও শ্যালিকাকে আটক করা হয়েছে বলে জানান উপপরিদর্শক।