পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি আ. লীগের
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/20/photo-1458494047.jpg)
তৃতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের আগে পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে চিরুনি অভিযান চালানোর ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ রোববার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পার্বত্যবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এ দাবি জানান। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান, সহসভাপতি চিং কিউ রোয়াজা, কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রাণনাশের হুমকিকে পানি-ভাত মন্তব্য করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘আমাকে যারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে, সেই হুমকিতে আমি ভয় পাই না। তারা কী করতে পারবে আমার জানা আছে। আমি সব জাতির কথা বলি, এটা আমার রাজনৈতিক শিক্ষা। এই শিক্ষা থেকে আমি পিছপা হব না। যেদিন হব সেদিন আমার রাজনৈতিক জীবনে থাকার আর কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করব।’
সংবাদ সম্মেলনে দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে অন্য কেউ হত্যা করেনি তাঁর জাতি বাঙালিরাই হত্যা করেছে। ঠিক তেমনিভাবে বিশ্বের অন্য সব দেশের অবস্থা দেখলে বলা যায়, সেখানে নেতাদের হত্যা করেছে তাঁর নিজ জাতি। তাই যদি আমার জাতি আমাকে হত্যা করে তবে আমার কোনো অসুবিধা নেই। আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত।’
এ সময় রাঙামাটিতে তৃতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্রধারীদের ধরতে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান চালানোর ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান দীপংকর তালুকদার।
সংবাদ সম্মেলনে দীপংকর তালুকদার অভিযোগ করেন, পাহাড়ের স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অস্ত্রের জোরে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাউকে প্রার্থী হতে দিচ্ছে না। এই কারণে রাঙামাটি ৪৯টি ইউনিয়নের ৩০টি ইউনিয়ন বাদে বাকি ১৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ কোনো দলীয় প্রার্থী দিতে পারেনি।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য যে কথা বলা হচ্ছে এটা আমাদের কোনো দলীয় কথা নয়, এটা হচ্ছে সাধারণ নাগরিকের কথা। আমরা আগামী ২৪ মার্চ যে মিছিল ও সমাবেশ করার কথা বলেছি তা সবার সমন্বয়ে আয়োজন করব। এটা করব সাধারণ নাগরিকের ব্যানারে।’
আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে জেলা আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেছে। দাবিগুলো হলো ভোটারদের সঙ্গে আইডি কার্ড রাখা বাধ্যতামূলক করা, মোবাইল ফোন ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া বন্ধ করা, ভোটকেন্দ্র কাঁচাবাড়ির হলে পোলিং বুথসমূহ মোটা কাপড় দ্বারা আচ্ছাদিত করা, দূরবর্তী ও দুর্গম পোলিং সেন্টারগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা করা।