সাজা শেষে মুক্ত জেএমবি সদস্য কারাফটকে আটক
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/29/photo-1459263070.jpg)
গাজীপুরে সিরিজ বোমা হামলা মামলায় সাজা শেষে বেরিয়ে আসার পরই জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারো আটক করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার ১০ বছর সাজা শেষে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারগার থেকে বের হন আসাদুল ওরফে জাহাঙ্গীর (২৭)। তার পরই পুলিশের বিশেষ তদন্ত সংস্থা সিআইডি তাঁকে আটক করে। আসাদুল গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার চকপাড়া গ্রামের আবদুল ওয়াহিদের ছেলে।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার শাহ শরীফ আহমেদ জানান, দেশব্যাপী একযোগে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার একটি মামলায় অভিযুক্ত আসাদুলকে ২০০৬ সালের ৩০ এপ্রিল পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে উচ্চ আদালত তাঁকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। সাজা ভোগ শেষে আজ দুপুর দেড়টার দিকে কারাগার থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আসাদুল ওরফে জাহাঙ্গীরের মা হোসনে আরা বলেন, কারাগেট থেকে মুক্তির পর সাদা পোশাকধারী পুলিশ জাহাঙ্গীরকে আটক করে প্রিজনভ্যানে করে নিয়ে যায়। এর আগে সকালে জাহাঙ্গীরকে নেওয়ার জন্য কারাগার থেকে আমার কাছে ফোন করা হয়। কারাগার থেকে জাহাঙ্গীরকে নেওয়ার জন্য স্বজনরা দুপুরে কারাগেটে এলে পুলিশ সরিয়ে দেয়।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা জানান, ঢাকা থেকে সিআইডি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহাঙ্গীরকে নিয়ে গেছে। আরো জঙ্গি হামলার ঘটনায় তাঁর জড়িত থাকার বিষয়ে পুলিশ তাঁকে সন্দেহ করছে।
জাহাঙ্গীরের বাবা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, পুলিশ প্রভাবিত হয়ে অন্যায়ভাবে আমার ছেলেকে অভিযুক্ত করেছে। আমার ছেলে ভাংনাহাটী মাদ্রাসায় ফাজিল শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
আব্দুল ওয়াহিদ আরো বলেন, ‘আমার ছোট মেয়ে ফাতেমাকে জনৈক রেজার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের ২১ মাস পর আমরা জানতে পারি রেজা জেএমবির সদস্য। এটি জানার পরই রেজাকে আমার মেয়ে তালাক দেয়। জেএমবির সঙ্গে যোগসূত্র থাকায় আমার জামাতার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়। অথচ সেই সূত্র ধরেই আজ আমার ছেলেকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের মধ্যে জেএমবি সদস্যের কোনো আচরণ বা যুক্ত থাকার কথা এলাকাবাসীসহ আমরা কখনো শুনিনি।’