রুফটপ রেস্টুরেন্টগুলো পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট
ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুফটপ রেস্টুরেন্টগুলো পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আদালত।
আজ সোমবার (৪ মার্চ) বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, যেভাবে একের পর এক রুফটপ রেস্টুরেন্ট হচ্ছে তাতে আমরা অবাক হচ্ছি। এসব রেস্টুরেন্ট একটা ফ্যান লাগিয়ে চালু করে দিচ্ছে। কি একটা অবস্থা চলছে।
এ সময় রাজধানীর বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, বুয়েটের বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে বলেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিংয়ের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা চার মাসের মধ্যে জানানোর নির্দেশও দেন হাইকোর্ট।
গতকাল (৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির অনুমতি নেওয়া হয়।
এর আগে রোববার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডসহ সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার ছাড়াও আহত, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। গতকাল তাদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৪ জনের মধ্যে বাসায় ফিরেছেন ১১ জন। এখনো ভর্তি আছেন তিনজন। আর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন আরও দুজন।