মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো-কাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, জানতে চান আদালত
৩০ হাজারেরও বেশি কর্মীকে মালয়েশিয়া পাঠানোর নামে কোটি কোটি টাকা লুটে নেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী সাতদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়কে আদালতে এ সংক্রান্ত তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে শুনানি শেষে আজ রোববার (৩০ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ ও অ্যাডভোকেট বিপ্লব পোদ্দার। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
গত ২৪ জুন বিকেলে প্রতিবেদন জমা দেয়ার শেষ দিনে গড়ে ৫ লাখ টাকা খরচ করেও ১৭ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়া যেতে না পারার ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মাহবুবুল হক প্রবাসী প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে তা পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
তদন্ত প্রতিবেদন ঘিরে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দুই দফায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন বায়রার বর্তমান ও সাবেক কমিটির নেতারা। তবে প্রতিবেদনে কয়টি এজেন্সিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান। এ সময় তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দোষীদের শাস্তি দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, গত ৩১ মে পর্যন্ত দেশটিতে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জন বাংলাদেশি কর্মীকে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ছাড়পত্র দেয় প্রায় ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪২ জনকে। অজ্ঞাত কারণে বাদ দেওয়া হয় ৩০ হাজারের বেশি কর্মীকে। গত ৩১ মে শাহজালাল বিমানবন্দরে অপেক্ষা করলেও শেষ পর্যন্ত টিকিট পাননি তারা। জটিলতার জন্য এজেন্সিসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে দায়ী করেন তারা।
এ বিষয়ে ৫ জুন সংসদে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা জানান, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে জটিলতার কারণ খতিয়ে দেখছে সরকার। এতে কেউ জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি। কর্মী পাঠানো নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় দেশের কিছু লোকের সঙ্গে মালয়েশিয়ারও অনেকে জড়িত বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।