ভিন্ন অপরাধে শফিক রেহমান গ্রেপ্তার
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সাংবাদিকতার কোনো কারণে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ভ্ন্নি অপরাধে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রোববার তথ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলেন মন্ত্রী এ কথা জানান। তিনি বলেন, গণমাধ্যম এখন চাপের মুখে নেই। সরকারের সমালোচনা করার মতো সর্বকালের সবচেয়ে বেশি অধিকার ভোগ করছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
এ ছাড়া মাহমুদুর রহমান, শওকত মাহমুদ ও শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের কারণে সাধারণ গণমাধ্যম চাপের মুখে পড়েনি বলেও দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী।
মূলত বাংলাদেশকে নিয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রকাশিত প্রতিবেদনের জবাব দিতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তথ্য মন্ত্রণালয়।
‘কেউ কেউ হতাশ হয়ে ব্লগার হত্যা করছে’
ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার সঠিক প্রতিফলন উঠে আসেনি। বাংলাদেশের সার্বিক প্রেক্ষাপট পুনর্বিবেচনা করে, দেশের সঠিক চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদনটি আবারও প্রকাশের আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, প্রতিবেদনটিতে করা এমন অভিযোগের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো অপরাধ করলে তারা ছাড় পাচ্ছে না। বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষী প্রমাণিত হওয়া আট হাজার র্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ব্লগার হত্যার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার জঙ্গি ও নাশকতা সৃষ্টিকারীদের কঠোরভাবে দমন করতে সক্ষম হয়েছে। তাদেরই কেউ কেউ হতাশ হয়ে বিক্ষিপ্তভাবে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে ব্লগার ও সুফিবাদের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের হত্যা করছে।
‘গণতন্ত্র সংকুচিত হয় না’
দেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না বলে ওঠা বিভিন্ন মহলের অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। এর জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, সুষ্ঠু ও আনন্দমুখর পরিবেশে ইউপি নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ সময় সাংবাদিকরা জানান যে, এবার অনেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি নানা ভয়ভীতির কারণে। ফলে অনেক স্থানেই সরকারি দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, যা আগে সাধারণত দেখা যেত না।
এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে গণতন্ত্র সংকুচিত হয় না। এ নিয়ে বিএনপির কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগও নেই।