চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় চার মামলা, আসামি ৫০০
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রামের দুই থানায় চারটি মামলা হয়েছে। নগরীর পাঁচলাইশ ও খুলশী থানায় এ মামলাগুলো করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে এসব মামলা করে।
আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোখলেসুর রহমান জানান, কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় চট্টগ্রামের দুই থানায় চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে নিহত তিনজনের মরদেহ গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনরা নিয়ে গেছে।
চট্টগ্রাম কলেজের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিহত ওয়াসিম আকরামের মরদেহ আজ সকালে পেকুয়া উপজেলার নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে। ওমর গনি এমইএস কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র ফয়সাল আহমেদের বাড়ি বরিশালে। আর পথচারী ফারুককে কুমিল্লায় দাফন করা হয়েছে।
এদিকে, চলমান পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও আজ রাত ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুরে সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আজ সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরি সিন্ডেকেট সভা ডাকা হয়। সভা শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্রীদের সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এবং ছাত্রদের রাত ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহত দুই শিক্ষার্থীর পাশাপাশি পথচারী ফারুকের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে আহত শতাধিক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ গুলিবিদ্ধ।
এদিকে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া খেয়ে আত্মরক্ষার্থে বিভিন্ন ভবনে আশ্রয় নেওয়া ছাত্রলীগের পাঁচকর্মী ভবন থেকে পড়ে জখম হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ৮০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এখনও চিকিৎসা নিচ্ছে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় তিনটি ও খুলশী থানায় একটি মামলা হয়েছে।