মানিকগঞ্জে পিকনিকের ট্রলার ডুবি, দুজনের মরদেহ উদ্ধার
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলার ডুবি ঘটনায় নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো।
স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলার কামতা গ্রামের দানেজ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও একই উপজেলার উত্তর কাউন্নারা গ্রামের মৃত সেলিমের ছেলে রাসেলের (১৪) মরদেহ ভেসে ওঠে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহগুলো উদ্ধার করে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সাটুরিয়ার গোলড়া কামতা এলাকার ৫৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা ট্রলারযোগে যমুনা সেতু এলাকায় ভ্রমণে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে রাত একটার দিকে ঘিওর উপজেলার কুসুন্ডা এলাকার ধলেশ্বরী নদীতে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ট্রলারটির ধাক্কা লাগে। এতে যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ৫৫ জন যাত্রীর মধ্যে ৫২ জন সাঁতরে নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হলেও দুজন নিখোঁজ হয়। ট্রলার ডুবে যাওয়ার সময় প্রাণে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দেয় মিলন হোসেন। পরে সাঁতরে নদীর তীর উঠার পর তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত মিলন হোসেন (১৫) সাটুরিয়া উপজেলার কামতা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। সে উপজেলার জান্না আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘গত মঙ্গলবার রাতে পিকনিকের ট্রলার ডুবির ঘটনায় ওইদিনই মিলন নামে একজন মারা যান। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধারের সময় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিখোঁজ দুজনের মরদেহ ভেসে ওঠে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’