নিহতদের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পরিবর্তন হচ্ছে, দাবি মির্জা ফখরুলের
কোটা সংস্কার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় সরকারের নির্দেশে নিহতদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, চলমান আন্দোলনে নিহতদের নাম ও সংখ্যা নিয়ে সরকার যে তালিকা প্রকাশ করেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে এর সংখ্যা অনেক বেশি। কিশোর ও আগে নিহতের নাম এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। অবিলম্বে সঠিক তালিকা প্রকাশের দানি জানান তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, পত্রিকার তথ্যমতে, রাজধানীর ৩১টি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতের সংখ্যা ছয় হাজারের অধিক। যেসব ছাত্রজনতাকে হতাহত করা হয়েছে, তাদের পরিবারকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। অনেক ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ নিহতদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পরিবর্তন করা হচ্ছে। অনেককে ময়নাতদন্ত ছাড়াই আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের ডিবি র্কার্যালয়ে তুলে নিয়ে, চাপ প্রয়োগ করে নির্যাতনের মাধ্যমে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা যায়; কিন্তু আবেগ-অনুভূতি এবং সঙ্গীদের রক্তমাখা শার্টের গন্ধ শিক্ষার্থীদের বিবেককে সব সময় তাড়া করবে। সুযোগ পেলেই তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে সেটির বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে। গণগ্রেপ্তারের নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা নেতাকর্মীদের বাসায় ছিনতাই ও লুটপাটের দৃশ্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
বিবৃতিতে ফখরুল আরও বলেন, এর আগেও এসব অন্যায়-অত্যাচার, আটক, নির্যাতন ও নিপীড়নের প্রতিবাদ করা হয়েছে, কিন্তু কর্তৃত্ববাদী সরকার তা কর্ণপাত করেনি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সরকারের এসব মানবাধিকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে তা বন্ধ করার আহ্বান জানালেও সরকার অব্যাহত রেখেছে এবং দিন দিন তা বৃদ্ধি করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের মন্ত্রী-নেতারা বারবার বলছেন-প্রকৃত সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে শান্তি নিশ্চিত করা হবে। বাস্তবতা হলো—সরকার প্রকৃত অপরাধীদের না খুঁজে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনে উঠেপড়ে লেগেছে।