ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ কলেজ শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসেন মারা গেছেন। গতকাল শনিবার রাত পৌঁনে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আজ রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে রিয়াজ হোসেনের বড় ভাই রেজাউল করিম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজই জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ বরিশালের হিজলা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে গত ৪ আগস্ট ঢাকার ঝিগাতলা এলাকায় মিছিল করার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন রিয়াজ হোসেন। সঙ্গে থাকা আন্দোলনকারীদের কয়েকজন তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
নিহত রিয়াজ হোসেন লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাহমুদুল হক রাঢ়ীর ছেলে। তিনি মুলাদী সরকারি কলেজের স্নাতক শ্রেণির শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রস্তাবিত কমিটির সহসভাপতি ছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল গনি জানান, আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে রিয়াজ সামনের সারিতে ছিলেন। গত ৪ আগস্ট ঢাকার ঝিগাতলা এলাকায় মিছিলে অংশ নেন তিনি। তখন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। এরপর অন্যান্য আন্দোলনকারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
হিজলা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহসিন সিকদার জানান, রিয়াজ ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁর এ ত্যাগ জাতি ভুলবে না। তিনি উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রস্তাবিত কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। গত ৩১ জুলাই থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে ঢাকায় কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে ঝিগাতলা এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
নিহত রিয়াজের বড় ভাই রেজাউল করিম জানান, মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ায় রিয়াজের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।