সিলেটে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ হত্যা মামলার আসামি ৬ শতাধিক
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুদ্র সেনের সহপাঠী ও সাংবাদিক এ টি এম তুরাবের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মোমেনের আদালতে দুটি মামলা করা হয়। মামলা দুটির আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, উপাচার্য, মেয়র, সংসদ সদস্য ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয় শতাধিক।
গত ১৯ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর সিলেট কালেক্টরেট জামে মসজিদ এলাকায় বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক এ টি এম তুরাব। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর তুরাবের পরিবারের পক্ষ থেকে আট থেকে ১০ পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে তাতে কারও নাম উল্লেখ ছিল না।
আজ দুপুরে নিহত তুরাবের ভাই আবুল হোসেন মোহাম্মদ আজরফ বাদী হয়ে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী এমরান আহমদ চৌধুরী জানান, আদালত এজাহারের গুরুত্ব অনুধাবন করে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
অপরদিকে একই দিনে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুদ্র সেন মৃত্যুর ঘটনায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের একজন হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে একই আদালতে আরেকটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য পদত্যাগ করা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ, প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশেনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রঞ্জিত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো সাদেক দস্তগীর কাওসারসহ ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মো হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শহীদ রুদ্র সেনের পরিবারে সঙ্গে যোগাযোগ করেই মামলা করেছি। আদালত দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এটা আমাদের দাবি।’
আদালত অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইজীবী আব্দুর রব।