ফেনীতে বাঁধের ২৭ স্থানে ভাঙন, ৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দি
ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২৭টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব ভাঙনের কারণে লোকালয়ে পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দিনগত রাত ১২টা থেকে ফায়ার সার্ভিস এবং স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীদের সহায়তায় নৌকা দিয়ে লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে জেলার ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, এসব ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকে চিথলিয়া, মির্জানগর, বক্স মাহমুদ, মুন্সীরহাট, দরবারপুর, আনন্দপুর, আমজাদহাট ও জিএমহাট, মহামায়া, পাঠান নগরসহ ১২ ইউনিয়নের প্রায় ১৫০টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে চমর দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা।
পরশুরাম উপজেলায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় পরশুরাম পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করার জন্য সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত একজন নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ফুলগাজী উপজেলায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ফুলগাজী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। গতকাল রাত ১০টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীদের সহায়তায় নৌকা দিয়ে লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যদের সহায়তায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।’
এদিকে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিম মহাসড়কে এখনও পানি থাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভাঙনের কারণে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, জমির ফসল। নষ্ট হয়েছে মানুষের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট।