মাঠ বানাতে নৌকার শেপের দরকার নেই : বিসিবিপ্রধান
রাজধানীর পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের জন্য বরাদ্দকৃত জমি পরিদর্শন করেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) অন্যান্য পরিচালকদের সঙ্গে নিয়ে প্রজেক্টটি পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শন শেষে স্টেডিয়ামের শেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে নতুন বিসিবিপ্রধান জানান, মাঠ বানানো নৌকা কিংবা স্কয়ার শেপের দরকার নেই, দরকার ওভালের!
আজ সকালে পূর্বাচলে যান বিসিবিপ্রধান। সঙ্গে ছিলেন বিসিবির পরিচালক আকরাম খান, ইফতেখার আহমেদ, নাজমূল আবেদীন ফাহিম, ফাহিম সিনহা, কাজী ইনাম, মঞ্জুরুল ইসলাম ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। পরিচালকদের নিয়ে পুরো প্রজেক্টটি পরিদর্শন শেষে সেখানেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি ফারুক। ৩৭ একর জমি ঘুরে দ্রুত দুটি খেলার মাঠ তৈরির কথা জানালেন বিসিবি সভাপতি।
স্টেডিয়ামটি নিয়ে ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘এখানে দুটো মাঠের অনুমতি ছিল, বড় স্টেডিয়াম হওয়ার কথা ছিল। এই মুহূর্তে হয়তো এত বড় বাজেট আমরা প্রদান করতে পারব না। সেজন্য এখানে আমরা প্রথম একটা মাঠ দিয়ে কাজ শুরু করব, তারপর পাশের মাঠটা (নির্মাণ) চেষ্টা করব আর কি। আপনারা শিগগিরই দেখতে পারবেন যে মাঠের কাজ শুরু করব। এখন আমাদের অনেক ধরনের খেলা, আপনারা সবাই জানেন। বয়সভিত্তিক থেকে শুরু করে নারী ক্রিকেট, ক্লাব ক্রিকেট—অনেক খেলা। এখন সে জন্য মাঠটা তৈরি করব।
সাবেক বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপন থাকাকালীন পপুলাস নামের অস্ট্রেলিয়ান একটি প্রতিষ্ঠানকে স্টেডিয়াম নির্মাণের পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলেই যত দ্রুত সম্ভব মাঠের কাজ শুরু করতে চান ফারুক। তিনি বলেছেন, ‘আমি আগেই উল্লেখ করেছি, কনসালটেন্সিতে আমাদের টাকা ইনভেস্ট হয়েছে। ওটাকে ধরেই বড় কোনো পরিবর্তন না করে, আপনি তো একদিনে সব করতে পারবেন না। মাঠ, ড্রেসিংরুম। আমি ওদের প্ল্যানটা পুরোপুরি দেখিনি। এটা নিয়ে আমার কথা বলাটাও ঠিক হবে না। ওই প্ল্যানটা দেখে, ড্রইং দেখে ওদের সাজেশন অনুযায়ী আমরা প্রথমে মাঠ করার চেষ্টা করব।’
এখানে স্টেডিয়ামটি ‘দ্য বোট’ এর প্রতিকৃতিতে হওয়ার কথা ছিল। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন আসলে বিসিবিপ্রধান বলেছেন, ‘দেখুন মাঠ করতে তো নৌকা বা স্কয়ার শেপের দরকার নাই। মাঠ করতে ওভাল দরকার। মাঠ করতে যা দরকার, তা করব।’
এ ছাড়া স্টেডিয়ামটির নাম শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম যে আর থাকছে না সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন ফারুক। তার ভাষায়, ‘এটা ক্রিকেট বোর্ড আর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে আছে। সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত হবে।’