‘চট করে’ দেশে ফেরার অপেক্ষায় কি শেখ হাসিনা?
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ পালিয়ে ৫ আগস্ট থেকে ভারতে আছেন স্বৈরশাসক ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি দিল্লিতে ছিলেন বলে জানা যায়। সে সময়ে তার কাছে ‘ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট’ ছিল। সেই পাসপোর্টের ক্ষমতাবলে ৪৫ ভারতে অবস্থান বৈধ বলে জানা যায়। সেহিসেবে ভারতে অবস্থানের সময় ফুরিয়ে আসার কথা তার। এমন এক মুহূর্তে শেখ হাসিনা ও যুক্তরাষ্টে বসবাসরত এক নেতার ফোনালাপের গুঞ্জন শোনা গেল। সেখানে তিনি ‘চট করে’ বাংলাদেশে ঢুকতে পারেন বলে জানিয়েছেন। যদিও এই ফোনালাপের সত্যতা নিশ্চিত করেনি কেউ।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে তানভীর নামে ওই নেতা বিদেশে বসে দেশের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তুমি যেখানে আছ, সেখানে বসেই সহায়তা করো।’ এর আগে তিনি বলেন, ‘যত মামলা নেতাকর্মীদের নামে হয়েছে তা সবাই মার্ডার কেস।’
আইনজীবীদের বিষয়েও তানভীর শেখ হাসিনার কাছে পরামর্শ চান। ওই কথোপথন থেকে জানা যায় যে নেতা শেখ হাসিনা ফোন দিয়েছিলেন তিনি যেদেশে রয়েছেন সেখানে আঞ্চলিক নির্বাচন চলছে। শেখ হাসিনা ওই নির্বাচনে নেতাদের সাহায্য করতে বলেন এবং দেশের বিষয়ে তিনি তাদের জানিয়ে রাখতে বলেন। জাতিসংঘকে জানানোর বিষয়েও কথা বলেন হাসিনা।
শেখ হাসিনার সঙ্গে আবেগঘন আলাপচারিতায় কেঁদে ফেলেন তানভীর। বলেন, আপনি যতদিন আছেন আমরাও ততদিন আছি। আমরা আছি আপনার জন্য। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দূরে নেই। আমাদের দেশের অনেক কাছাকাছি আছি যাতে চট করেই ঢুকে পড়তে পারি।’
দেশে ফিরে সহযোগিতা করবেন কি না—প্রশ্নে শেখ হাসিনা তানভীরকে বলেন, ‘এখন দেশে গেলে মামলা দিয়ে দেবে। পরে কিছুই করতে পারবা না।’