ভৈরবে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত শতাধিক
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের সরকার বাড়ি ও কর্তাবাড়ির লোকজনের মধ্য এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ইকবাল হোসেন নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন নারী-পুরুষসহ উভয়পক্ষের শতাধিক লোক। আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অনেক বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গুরুতর আহত লাদেন (২০), সাফিউদ্দিন (৬৫), হোসাইন (২০), ইয়াসিন (২৫), রাকিব (৩২), শাহ আলম (২৫), তোফাজ্জল (৩৫) ও হেলেনা বেগমকে (৩৪) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফারিয়া নাজমুন প্রভা জানান, আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে ইকবাল হোসেন নামে একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ ছাড়া গুরুতর আহত আটজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের মধ্যে কয়েকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হযছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অর্ধশত বছর ধরে সরকার বাড়ি ও কর্তাবাড়ির সমর্থক লোকজনের মধ্য বিরোধ চলে আসছে। যার কারণে কিছুদিন পর পর বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে দুই বংশের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ সময়ে উভয়পক্ষের ১০-১২ জন নিহতসহ আহত হয়েছেন শত শত লোক। ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
কয়েক মাস আগে দুই বংশের সংঘর্ষে কর্তা বাড়ির নাদিম কর্তা নামের এক যুবক নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে দুই পক্ষের মধ্য প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে থাকে। এরই জের ধরে আজ বিকেলে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ইকবাল হোসেন নামের এক যুবক প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে গুরুতর আহত হয়। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, মৌটুপি গ্রামের মানুষ বংশ পরম্পরায় আধিপত্য অক্ষুণ্ণ রাখতে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে আসছে। মামলা ও গ্রেপ্তার করেও এদের দমন করা যাচ্ছে না।