হত্যাকারীর ব্যাগে পিস্তল, মোবাইল, আরবি লেখা কাগজ
রাজধানীর কলাবাগানে মার্কিন দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশের সদরদপ্তর সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যে সন্ত্রাসী কুপিয়ে ছুটে চলে গেছে, কিন্তু সন্ত্রাসীর যে ব্যাগটা সেটা কিন্তু আমরা রাখতে সমর্থ হয়েছি। ব্যাগের মধ্যে দুটি পিস্তল পাওয়া গেছে, একটা মোবাইল পাওয়া গেছে এবং আরবি লেখা কিছু কাগজপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ আলামত পাওয়া গেছে। যে পথে তারা গিয়েছে সে পথের কিছু সিসিটিভি ফুটেজ আমরা পেয়েছি, যেগুলো পর্যালোচনা করে দেখছি।’
এ ছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা আছে কি না বা জঙ্গি নাম ব্যবহার করে অন্য কেউ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান আসাদুজ্জামান মিয়া।
গত সোমবার বিকেলে কলাবাগানের ৩৫ লেক সার্কাসের আসিয়া নিবাস নামের এক বাসায় জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত বন্ধুর নাম তনয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী ও টহল পুলিশের একজন সদস্যকে কুপিয়ে জখম করে।
জুলহাজ বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মোজীনার প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের আগে ‘রূপবান’ সম্পাদনার পাশাপাশি জুলহাজ উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডিতে কাজ করতেন। নিহত জুলহাজ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির খালাতো ভাই।