সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ফের কারাগারে
পঞ্চগড়ের ইজিবাইকচালক আল আমিনকে গুম ও হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাবেক রেলপথমন্ত্রী ও পঞ্চগড়-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজনকে আদালতে হাজির করা হয়। আজ রেববার (১ ডিসেম্বর) সকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশরাফুজ্জামান তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে ফের কারাগারে পাঠান।
গুম ও হত্যার শিকার ইজিবাইকচালক আল আমিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন।
মামলার শুনানিতে বাদী পক্ষে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আদম সুফি, গর্ভরমেন্ট প্রসিকিউটর (জিপি) মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজলসহ আদালতের এপিপি এবং আসামি পক্ষে সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মির্জা সারোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট আলী আসমান বিপুল অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে সাবেক এই রেলমন্ত্রীকে ঢাকার কাশিমপুর কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় পঞ্চগড় আদালতে নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকাল থেকে পুলিশ, ডিবি ও সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মির্জা সারোয়ার হোসেন বলেন, সাবেক এই রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুম ও খুনের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। মামলার এজহারে বলা হয়েছে বাদীর ছেলেকে নাকি সাবেক এই মন্ত্রীর হুকুমে মারধর করা হয়েছে। পরে তাকে নাকি আর পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা আদালতে বলেছি, যেহেতু ভিকটিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেহেতু কোনোভাবেই ৩০২ ধারা হতে পারে না। আমরা জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালত তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। তবে আদালত তাঁকে জেলকোর্ট অনুযায়ী ডিভিশন দিয়েছেন।
মামলার বাদী পক্ষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আদম সুফী বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশে শান্তি ফিরে এসেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সম্মুখ সারির যোদ্ধাকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে। সাবেক এই রেলমন্ত্রীর নির্দেশে মামলার অন্য আসামিরা আল আমিনকে হত্যা করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করেছি। একইসঙ্গে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেছি।
এর আগে, গত ১০ নভেম্বর পঞ্চগড় সদর থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন গুম ও হত্যার শিকার ইজিবাইকচালক আল আমিনের বাবা মনু মিয়া। মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রীকে প্রধান আসামী করে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।