জ্যামাইকা টেস্ট
বোলিং দৃঢ়তায় স্বল্প পুঁজিতেও বাংলাদেশের লিড
ব্যাট হাতে বরাবরের মতো হতাশ করেছেন ব্যাটাররা। বোলাররা দূর করেছেন সেই হতাশা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে স্বল্প পুঁজি নিয়েও লড়াই জমিয়েছে বাংলাদেশ। জ্যামাইকা টেস্টের প্রথম ইনিংস শেষে বসেছে চালকের আসনে। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিনে সোমবার (২ ডিসেম্বর) ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৬ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশ। নিয়েছে ১৮ রানের লিড।
আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৬৪ রানে। জবাবে সবকটি উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থামে ১৪৬ রানে।
নাহিদ রানার নেতৃত্বে ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামায় বাংলাদেশ। এই গতি দানব একাই তুলে নেন পাঁচ উইকেট। তার ফাইফারে দিশেহারা স্বাগতিকরা ভালো শুরুর পরও তাই শেষ পর্যন্ত মুখ থুবড়ে পড়ে। ৬১ রানে পাঁচ শিকার করেন নাহিদ। শুরু ও শেষে তার ঝড়ে দাঁড়াতেই পারেনি ক্যারিবীয়রা।
দিনের শুরুতে নাহিদের টপ লেন্থের ডেলিভারিতে জাকির হাসানের হাত ক্যাচ তুলে দেন ক্রেইগ ব্রেথওয়েট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কের বিদায়ে ভাঙে দ্বিতীয় উইকেটে ৬০ রানের জুটি। দলীয় ৮৫ রানে আউট হওয়ার সময় ব্রেথওয়েটের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। ব্রেথওয়েটের পর দাঁড়াতে পারেননি কাভেম হজও। মাত্র তিন রান করে নাহিদের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন হজ। ৯৩ রানে তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দিনের শুরুতে জোড়া উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন নাহিদ।
বাংলাদেশের জন্য হুমকি হতে পারতেন কিচি কার্টি। তবে, বিপদ হয়ে ওঠার আগে তাকে ফেরান পেসার হাসান মাহমুদ। ৪০ রান করে লিটনের তালুবন্দি হন কার্টি। ১০০ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো ক্যারিবীয়রা পরবর্তী ২৩ রান তুলতেই হারায় আরও পাঁচ উইকেট। চোখের পলকে ১২৩ রানে আট উইকেটে পরিণত হয় স্বাগতিকরা।
নবম ব্যাটার হিসেবে শামার জোসেফকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। আর শেষ ব্যাটার হিসেবে কেমার রোচ যখন নাহিদের বলে উইকেট বিলিয়ে ফেরেন, বাংলাদেশ তখন এগিয়ে যায় ১৮ রানে।
ইনিংসে নাহিদের পাঁচ শিকারের পাশাপাশি হাসান মাহমুদ নেন দুই উইকেট। একটি করে উইকেট ঝুেলিতে পুরেন মিরাজ, তাসকিন ও তাইজুল।