এবার উইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের
পছন্দের ওয়ানডে ফরম্যাটে ধবলধোলাইয়ের রেশ না কাটতেই এবার উইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের। মানসিকভাবে বেশ পিছিয়ে থাকলেও ক্যারিবীয়দের মাটিতে এবার ইতিহাস বদলাতে চান অধিনায়ক লিটন দাস। অন্যদিকে, ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশকে ধরাশায়ী করতে মরিয়া ক্যারিবীয়রা।
প্রায় দেড়যুগ পর ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে কোনো টেস্ট জিতলেও অবিস্মরণীয় সাফল্যের পর ওয়ানডে সিরিজে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। উইন্ডিজের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও কঠিন হবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস। তবে সিরিজে ভালো ফল পেতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের অধিনায়ক।
ম্যাচের আগে লিটন বলেন, 'সাধারণত টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো আমাদের জন্য সবসময় একটু কঠিনই হয়। যেহেতু এটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরের মাঠে খেলা, একটু কঠিন আমাদের জন্য হবেই। তবে আমরা চেষ্টা করব এখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যায় এবং ভালো একটি সিরিজ খেলার চেষ্টা করবো।'
ছেড়ে কথা বলবে না ক্যারিবীয়রাও। ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিও দাপুটে পারফরম্যান্স ধরে রাখতে মরিয়া ক্যারিবীয় অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। ম্যাচের আগে পাওয়েলের ভাষ্য, ‘দল যখনই খেলে, আমরা দাপুটে পারফরম্যান্স দেখাতে চাই। আমাদের ভালো ক্রিকেট চালিয়ে যেতে হবে, ধারাবাহিকভাবে লম্বা সময় ধরে ভালো খেলতে হবে। আমাদের নির্ভয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে– এটাই মূল লক্ষ্য। গত ১৫ মাস ধরে এই চেষ্টাই চলছে। পরিচিত অনেক ক্রিকেটার এই সিরিজে নেই। যা জাস্টিন গ্রিভস, কিসি কার্টির মতো ক্রিকেটারদের সুযোগের দ্বার খুলে দিয়েছে। তারা সিপিএল এবং পঞ্চাশ ওভারের ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেছে।’
পরিসংখ্যানে এগিয়ে ক্যারিবীয়রাই। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচে ৯টিতেই তারা জিতেছে। মাত্র ৫ জয় বাংলাদেশের। দুই দলের মধ্যে ৭টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ৪টি জিতেছে ক্যারিবীয়ানরা। বাংলাদেশের সিরিজ জয় ২টি, ড্র হয়েছে একটি। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সবশেষ দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে। শ্রীলঙ্কা সফরে ২-১ ও ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের কাছে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে।
বাংলাদেশের জন্য এই মাঠটি নতুন নয়। অম্ল গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই মাঠে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৫৯ করেছিল বাংলাদেশ। এছাড়াও নেপালকে ৮৫ রানের মধ্যে গুটিয়ে দিয়েছিল। যা মাঠটির সর্বনিন্ম। স্থানীয় সময় রাতে খেলা হওয়ায় শিশিরের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। যার ফলে টস হতে পারে এক্স ফ্যাক্টর।
আগামীকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। এরপর ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর বাকী দুটি ম্যাচে মাঠে নামবে এই দু'দল। সাম্প্রতিক ব্যর্থতা ভুলে বছরের শেষ সিরিজটা অন্তত জয়ে রাঙাতে চায় ফিল সিমন্স শিষ্যরা।