বিজয় দিবসে উন্মুক্ত ছিল কোস্ট গার্ডের ৭ জাহাজ
মহান বিজয় দিবসে দেশের বিভিন্ন স্থানে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল কোস্ট গার্ডের সাতটি জাহাজ। আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শহরের ডাকাতিয়া নদীর পুরাতন লঞ্চঘাটে জাহাজগুলো উন্মুক্ত রাখা হয়।
সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, ঢাকা জোন থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহান বিজয় দিবসে জনসাধারণের জন্য সাতটি জাহাজ উন্মুক্ত করে রাখে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। প্রতি বছর দিবসটি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মহান বিজয় দিবসে কোস্ট গার্ড ঢাকা জোনের অধীনস্থ জাহাজ ‘বিসিজিএস পোর্টেগ্রান্ডে’(চাঁদপুর লঞ্চঘাট), ‘বিসিজিএস শেটগাং’ (মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট) পূর্ব জোনের ‘বিসিজিএস সৈয়দ নজরুল’ (পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম), ‘বিসিজিএস রূপসী বাংলা’ (বিসিজি বেইস চট্টগ্রাম) পশ্চিম জোনের ‘বিসিজিএস কামরুজ্জামান (মোংলা), ‘বিসিজিএস অপরাজেয় বাংলা’ (খুলনা) এবং দক্ষিণ জোনের ‘বিসিজিএস সোনার বাংলা’ (ইলিশাঘাট, ভোলা) বেলা ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।
বেলা ২টা থেকে জাহাজ পরিদর্শন করতে আশপাশের উল্লেখযোগ্য নারী-পুরুষ আসেন। এতে সাধারণ মানুষের কোস্ট গার্ডের জাহাজ ঘুরে দেখা এবং জাহাজের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়।
এ সময় জাহাজগুলো সম্পর্কে মানুষের কৌতূহল এবং বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। জাহাজের গভীর সমুদ্রে গমন ও উপকূলীয় অঞ্চলে টহল, বিভিন্ন উদ্ধার ও অনুসন্ধান কর্মকাণ্ড, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যুতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা এবং যুদ্ধ কৌশল সম্পর্কে জানতে পেরে সবাই খুশি মনে বাড়ি ফিরে এবং জনসাধারণের মাঝে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সম্পর্কে ইতিবাচক দিক প্রকাশ পায়।