ইজতেমা মাঠে হতাহতের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের নিষিদ্ধ এবং তাদের ইজতেমা না করতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা। এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ইজতেমা মাঠে হতাহতের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারের সাতজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর জুবায়েরের অনুসারী মাওলানা মামুনুল হক এ দাবি জানান। এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তার পাশে ছিলেন।
মামুনুল হক বলেন, তারা বাংলাদেশবিরোধী শক্তির দোসর হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করা শুধু আলেম-ওলামাদের কাজ নয়, এটি রাষ্ট্র ও প্রশাসনেরও কাজ। সাদপন্থিদের হামলায় হতাহতের ঘটনায় আজকের (বুধবার) মধ্যে মামলা করা হবে জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, আমরা সাদপন্থিদের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছি। সাদপন্থিদের হামলায় হতাহতের পর তাদের ইজতেমা করার আর কোনো অবকাশ নেই।
এরপরও সরকার সাদপন্থিদের ইজতেমা করার অনুমতি দিলে তাদের অবস্থান কী হবে- জানতে চাইলে মামুনুল হক বলেন, আশা করছি সরকার সেই ভুল করবে না।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গী ময়দানে লংমার্চ কর্মসূচি হবে কি না, তা কাকরাইল মসজিদে গিয়ে আলোচনার পর ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান মামুনুল হক।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা যদি আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। খুনিদের ছাড় দেওয়ার কোনো অবকাশ নেই।
এর আগে আজ বেলা ১১টায় মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের নিয়ে প্রথমে বৈঠকে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা। এতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। পরে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রকৃত দোষী যাকে পাব সঙ্গে সঙ্গেই আইনের আওতায় নিয়ে আসব। আমি প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি আমাদের যে চার জন ভাই গতরাতে শহীদ হয়েছেন, আল্লাহ যেন তাদের বেহেশত নসিব করেন। আর যারা আহত হয়েছেন, তারা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাদের সুকিচিৎসার জন্য যদি কোনো ব্যবস্থা নিতে হয় আমরা অবশ্যই নেব।
বিশ্ব ইজতেমার তারিখ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, তাদের ভেতরে একটা আলোচনা হচ্ছে। সবপক্ষ এক করে, আপনারাও চাচ্ছেন সবাই এক হতে। তারা যদি আবার আলোচনা করে একটা সমাধানে আসতে পারে। তাদের আলোচনা করার পর আমরা একটা সিদ্ধান্ত দেবো। আহতদের সুচিকিৎসা নেওয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে হলে সেটিও সরকার নেবে।