চিটাগংকে উড়িয়ে ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা ফরচুন বরিশাল হোঁচট খায় গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে। হার মানে চিটাগং কিংসের কাছে। সেই চিটাগংয়ের বিপক্ষে আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রথম কোয়ালিফায়ারে মাঠে নামে বরিশাল। একপেশে ম্যাচে হেসেখেলে জয় তুলে নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। চিটাগংকে তারা হারিয়েছে ৯ উইকেটে।
আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান করে চিটাগং। জবাবে ১৭.২ ওভারে ১ উইকেটে হারিয়ে ১৫০ রান তোলে বরিশাল। নোঙর ফেলে জয়ের বন্দরে।
১৫০ রানের লক্ষ্য খুব বড় কিছু নয়। সেটি তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে বরিশালকে ভালো শুরু এনে দেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও তাওহিদ হৃদয়। ২৬ বলে ২৯ করে খালেদ আহমেদের শিকার হন তামিম, স্কোরবোর্ডে বরিশালের সংগ্রহ তখন ৫৫। এরপর আর কোনো বিপদ ঘটেনি। ডেভিড মালানকে সঙ্গে নিয়ে ৯৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন হৃদয়। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন দুজন। ৫৬ বলে ৯টি চার ও দুটি ছক্কায় ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। ২২ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন মালান।
এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বরিশালকে প্রথম ওভারেই ব্রেক থ্রু এনে দেন কাইল মায়ার্স। ২ বলে ৪ রান করা খাজা নাফাইকে বোল্ড করেন তিনি। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন রান পেলেও তা ছিল ধীরগতির। ৩৬ বলে ৩৬ করেন ইমন। ওয়ানডাউনে নামা গ্রাহাম ক্লার্ককেও ফেরান মায়ার্স। মাত্র ৬ রানে বিদায় নেন ক্লার্ক। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ১ রান।
মিঠুনের পর হায়দার আলীও ফিরে যান ৭ রানে। ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারানো চিটাগং পড়ে বিপদে। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন শামীম হোসেন। একাই হাল ধরেন তিনি। দ্রুতগতিতে রান তুলে সামাল দেন বিপর্যয়। মোহাম্মদ আলীর শিকার হওয়ার আগে ৪৭ বলে ৯টি চার ৪টি ছক্কায় ৭৯ রান করেন শামীম। বাকিরা ব্যর্থতার ধারা বজায় রাখায় বেশিদূর যেতে পারেনি চিটাগং, থেমে যায় দেড়শ রানের আগে।
বরিশালের পক্ষে বল হাতে আগুন ঝরান আলী। ৪ ওভারে ২৪ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। একাই ধসিয়ে দেন চিটাগংয়ের ব্যাটিং। এছাড়া, ২৭ রানে ২ উইকেট পান কাইল মায়ার্স।