স্বস্তির জয়ে ফ্রান্সের শুভসূচনা
স্বাগতিকের ভূমিকায় ফ্রান্সের সাফল্যের হার দুর্দান্ত। ১৯৮৪ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ও ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ ফরাসিরা জিতেছিল আয়োজক হিসেবে। এবারের ইউরোর শুরুতেও তাদের আশাজাগানো পারফরম্যান্স। রোমানিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোপের সেরা ফুটবল প্রতিযোগিতায় শুভসূচনা করেছে ‘লা ব্লুজ’।
প্যারিসের বিখ্যাত স্তাদে দি ফ্রান্সে স্বাগতিক দলের জয়ের নায়ক দিমিত্রি পাইয়েত। শুক্রবার রাতে ফ্রান্সের দুটো গোলের পেছনেই তাঁর অবদান। প্রথমটি করিয়েছেন, আর পরেরটি নিজেই করেছেন দুর্দান্ত শট থেকে।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৫৭ মিনিটে পাইয়েতের দারুণ ক্রস থেকে হেড করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দিয়েছেন অলিভিয়ার জিরুদ। তবে এগিয়ে থাকার আনন্দ বেশিক্ষণ উপভোগ করতে পারেনি ফরাসিরা। আট মিনিট পর নিকোলাই স্তানচুকে বক্সের মধ্যে প্যাত্রিস এভ্রা ফাউল করলে পেনাল্টি পায় রোমানিয়া। বোগদান স্তাংকু সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি।
১-১ হওয়ার পর প্রতিপক্ষের আঁটোসাটো রক্ষণভাগ ভাঙতে পারছিল না কোনো দলই। খেলা যখন ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছিল ঠিক তখনই পাইয়েতের চমক। ৮৯ মিনিটে প্রায় ২৫ মিটার দূর থেকে নেওয়া এই মিডফিল্ডারের চোখধাঁধানো শট সবাইকে বিস্মিত করে আছড়ে পড়েছে রোমানিয়ার জালে। আর এই গোলেই নিশ্চিত হয়েছে আয়োজকদের তিন পয়েন্ট প্রাপ্তি।
অনেক কষ্টার্জিত হলেও জয় দিয়ে শুরু করতে পেরে দারুণ খুশি ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। খেলাশেষে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ ও ২০০০ ইউরোজয়ী অধিনায়কের মন্তব্য, ‘ওদের বাধা এড়িয়ে গোল পেতে বেশ কষ্ট হয়েছে আমাদের। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা পুরস্কার পেয়েছি। প্রথম ম্যাচ জিতে প্রতিযোগিতা শুরু করার চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না।’
১৬ জুন ফ্রান্সের পরের ম্যাচ আলবেনিয়ার বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপের অন্য দল সুইজারল্যান্ড।