৯০০টিরও বেশি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে বারি
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এ পর্যন্ত ২০০টিরও বেশি ফসলের ৪৭১টি উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিডসহ), রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধী জাত এবং ৪৫২টি অন্যান্য প্রযুক্তিসহ এ যাবৎ ৯০০টিরও বেশি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।
আজ শনিবার গাজীপুরে বারির কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে আয়োজিত ‘অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এসব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশে গম, তেলবীজ, ডালশস্য, আলু, সবজি, মসলা এবং ফলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আয়োজকরা জানান, গত অর্থবছর যেসব গবেষণা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছিল সেগুলোর মূল্যায়ন এবং এসব অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী বছরের গবেষণা কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এ কর্মশালা চলবে ২৯ জুন পর্যন্ত। উদ্ভাবিত প্রযুক্তির উপযোগিতা যাচাই-বাছাই ও দেশের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কর্মসূচি গ্রহণ করাই এ কর্মশালার প্রধান উদ্দেশ্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বারির গবেষণা কার্যক্রম ও সাফল্যের ওপর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারির পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. ভাগ্য রানী বণিক এবং পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী।
অনুষ্ঠানে বারির মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মণ্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়) মো. নাসিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আযাদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান।
এ ছাড়া কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) অবসরপ্রাপ্ত মহাপরিচালক, পরিচালক, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ প্রায় ৫০০ জন বিশেষজ্ঞ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।