পৈশাচিক!
গাজীপুরে আট মাসের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুস সালাম সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিশুটির গোপনাঙ্গ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। রক্তক্ষরণ হচ্ছে। শিশুটিকে ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে।’
শিশুটির পরিবার আজ বৃহস্পতিবার ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ধর্ষককে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুজায়েত হোসেন।
শিশুটির বাবা হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জয়দেবপুর থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ প্রথমে তা বিশ্বাস করেনি এবং বিষয়টি আমলেও নেয়নি। পরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়দেবপুর থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আবাসিক চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে শিশুটিকে ধর্ষণের খবরের সত্যতা পায়।’
পুলিশ জানায়, শিশুটির বাবা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাংলাবাজার এলাকার জিএম ফেব্রিক্সে কাজ করেন। বাংলাবাজার গজারিয়াচালা এলাকায় মিজানের বাড়িতে প্রায় পাঁচ মাস ধরে শিশুটিকে নিয়ে তার বাবা-মা ভাড়া আছেন। ওই শিশুটিই তাদের একমাত্র সন্তান। তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানা এলাকায়।
গতকাল বুধবার সকালে শিশুটিকে ফুপুর কাছে রেখে রান্না করতে যান মা। ফুপু আবার পাশের বাড়ির সেলিম মিয়ার (৪০) স্ত্রীর কাছে শিশুটিকে রাখে। সেলিমের স্ত্রী শিশুটিকে ঘরে রেখে বাইরে কাজে যান। এ সুযোগে সেলিম শিশুটিকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।
এ সময় শিশুটির চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলে তার মা ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তখন সেলিম ঘর থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়। এরপর স্বজনরা শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।