এখনো সিদ্ধান্ত জানাননি মীর কাসেম
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না, সে বিষয়ে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মীর কাসেম প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে আরো সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁকে এ বিষয়ে আবার জিজ্ঞাসা করা হয়নি।
আজ বেলা ১১টার দিকে কাশিমপুর কারাগার-২-এর সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, মীর কাসেম আলীকে আবার জিজ্ঞাসার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, কারাগারের বাড়তি নিরাপত্তা রক্ষায় কারাফটকে অতিরিক্ত কারারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ফটকের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা কাজ করছেন।
এর আগে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন জানিয়েছিলেন, মীর কাসেম আলীকে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে।
এদিকে, মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সঙ্গে দেখা করতে কাশিমপুর কারাগারে গেছেন তাঁর স্বজনরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাঈদীর স্ত্রী, ছেলেসহ পাঁচজন।
কারা সূত্র জানায়, এটি সাঈদীর পরিবারের নিয়মিত সাক্ষাৎ।
গত ৩০ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সকাল ৯টা ৪ মিনিটে মীর কাসেমের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন—বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।