মোটরবাইক চালককে পুলিশের মারধর, মহাসড়ক অবরোধ
কাগজপত্র চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক মোটরবাইক চালককে পুলিশের পেটানোর ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রায় ৪৫ মিনিট অবরোধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকালে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর এলাকায় জাকির হোসেন নামের এক মোটরবাইক চালকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায় পুলিশ।
বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ ওই চালককে পিটিয়ে থানায় নিয়ে গেলে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় মহাসড়কে উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ইলিয়টগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ও চান্দিনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধ নিরসনের চেষ্টা করে। এ সময় চান্দিনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তপন বকসী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতাকে বুঝিয়ে অবরোধ তুলে নিতে সক্ষম হন। এ সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইমতিয়াজ।
এ ব্যাপারে ওই মোটরবাইক চালক জাকির হোসেনের বড় ভাই নূরুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল সোয়া ৮টার দিকে চান্দিনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাহাত সিদ্দিকী আমার ভাইয়ের মোটরবাইকের কাগজপত্র দেখতে চান। তখন আমার ভাই ঘটনাস্থলের পাশে আমাদের বাড়ি থেকে কাগজ আনার অনুমতি চাইলে এসআই রাহাত উত্তেজিত হয়ে আমার ভাইকে পিটিয়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যান।’
এ সময় স্থানীয় জনতা এগিয়ে এলে এসআই রাহাত পিস্তল বের করে গুলি করার হুমকি দেন। এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে স্থানীয় রাজনীতিবিদরা এগিয়ে এলে জনতা শান্ত হয়ে অবরোধ তুলে নেয় বলে জানান নূরুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই রাহাত সিদ্দিকী জানান, মোটরবাইকের কাগজপত্র চাইলে জাকির চলে যেতে উদ্যত হন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা জাকিরকে আটকানোর চেষ্টা করেন। এরপর জাকির পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিলে তাঁর সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। এখানে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, ‘স্থানীয় জনতার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জেনেছি। আমার মারফত এসপি স্যারও ঘটনাটি জেনেছেন। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার মহাসড়ক অবরোধ করলে প্রত্যেককে পাই পাই হিসাব দিতে হবে। মহাসড়ক অবরোধ করার ক্ষমতা কারো নেই।’