বাংলাদেশকে নিয়ে ‘অনেক চিন্তিত’ মইন
দু-তিন বছর আগেও বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সেভাবে চিন্তা করতে হতো না ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলগুলোকে। কিন্তু গত বছর বাংলাদেশের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর অনেকটাই বদলে গেছে ক্রিকেট অঙ্গনের দৃশ্যপট। বাংলাদেশ এখন রীতিমতো সমীহ-জাগানিয়া শক্তি, বিশেষ করে নিজেদের মাঠে। কাজেই বাংলাদেশ সফরের আগে এখন বেশ সতর্কই থাকতে হয় ক্রিকেটারদের। ব্যতিক্রম হচ্ছে না ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রেও। দুই ম্যাচের টেস্ট ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে ইংলিশ ক্রিকেটাররা ‘অনেক চিন্তিত’ বলে মন্তব্য করেছেন মইন আলী।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ দুটি ওয়ানডে ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, ২০১১ ও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে। গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই স্মৃতি এখনো ভোলেননি মইন। ফলে মাশরাফি-সাকিবদের নিয়ে ইংলিশ ক্রিকেটারদের দুশ্চিন্তাটাও খুবই যৌক্তিক। সম্প্রতি ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মইন বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে নিয়ে খুবই চিন্তিত। অস্ট্রেলিয়ায় তারা আমাদের হারিয়েছিল। আমরা জানি, তারা কেমন খেলতে পারে।’ এক বছর আগের তুলনায় ইংল্যান্ড যে অনেকটা বদলে গেছে, সেটাও অবশ্য স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার, ‘আমরাও এখন পুরোপুরি ভিন্ন একটা দল।’
উপমহাদেশের স্পিনবান্ধব উইকেটের কথা মাথায় রেখে বেশ কয়েকজন স্পিনারকে নিয়ে চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছেন ইংল্যান্ডের নির্বাচকরা। মইন, আদিল রশিদদের সঙ্গে আছেন গ্যারেথ ব্যাটি, জাফর আনসারি, বেন ডাকেট, লিয়াম ডউসনের মতো স্পিনাররা। সবচেয়ে অভিজ্ঞ স্পিনার হিসেবে মইনকেই হয়তো দেখা যাবে অগ্রণী ভূমিকায়। বাংলাদেশ সফরে সেই চ্যালেঞ্জও উপভোগ করবেন বলে জানিয়েছেন মইন, ‘বাংলাদেশের কন্ডিশন হয়তো আমার জন্য অনেকটা সহায়ক হবে। মনে হচ্ছে, কিছু ক্ষেত্রে আমাকে হয়তো বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। আর আশা করছি, আমি দুই সিরিজেই দলের জয়ে বড় অবদান রাখতে পারব।’
শুধু স্পিনার হিসেবেই নন, ব্যাট হাতেও বড় অবদান রাখতে পারেন মইন। নিজেকে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবেই বিবেচনা করেন ২৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। তবে বাংলাদেশ সফরে শুরুর দিকে ব্যাটিংয়ের সুযোগ মিলবে কি না, তা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন না বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। ব্যাপারটা ছেড়ে দিয়েছেন নির্বাচক ও অধিনায়কের ওপর, ‘আমি নিশ্চিত যে নির্বাচক, কোচ, অধিনায়করা এ ব্যাপারে চিন্তা করবেন। আমি সব সময়ই বলে এসেছি, তাঁরা আমাকে যে পজিশনে ব্যাট করতে বলবেন, আমি সেখানেই ব্যাটিং করব।’
ওয়ানডেতে ব্যাটিং ও বোলিং—দুদিক থেকেই মাইলফলক স্পর্শ করার হাতছানি আছে মইনের সামনে। মাত্র ৬৯ রান করতে পারলেই পূর্ণ করতে পারবেন এক হাজার রানের মাইলফলক। আর আট উইকেট পেলে ছুঁয়ে ফেলবেন ৫০ উইকেটের মাইলফলক।