স্কুলছাত্রী নিতু হত্যায় মিলনের স্বীকারোক্তি
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্কুলছাত্রী নিতু মণ্ডলকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া মিলন মণ্ডল।
আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ফৌজিয়া হাফসার কাছে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ মিলনের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে।
মিলন মণ্ডল আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। পরে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা বিচারক জবানবন্দি নিয়ে মিলনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডাসার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বায়েজীদ মৃধা জানান, মিলনকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজ্ঞ আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত চলাকালে মিলন ১৬৪ ধারায় খুনের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। বিচারক তাঁর কক্ষে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা ওই জবানবন্দি নেন। এ সময় মিলন নিতুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁকে জেলহাজতে নেওয়া হয়।
কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী নিতু মণ্ডলকে (১৪) বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে গত রোববার সকালে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সে ওই গ্রামের নির্মল মণ্ডলের মেয়ে। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসী মিলন মণ্ডলকে আটক করে পুলিশে দেয়। এই ঘটনায় ওই দিন রাতেই মিলন মণ্ডলকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিতুর বাবা নির্মল মণ্ডল।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মিলন প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রায়ই ওই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। রোববার স্কুলে যাওয়ার পথে একটি নির্জন বাঁশবাগানের কাছে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান মিলন। স্কুলছাত্রী বাধা দিলে মিলন তাকে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যায় ওই স্কুলছাত্রী।