শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানির বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে মালয়েশিয়া। গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট বা ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে এই জনশক্তি নেওয়া হবে।
গত শুক্রবার কুয়ালালামপুর ও সেলাঙ্গর রাজ্যের ‘ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন’-এর ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান থেকে এ ঘোষণা দেন মালয়েশিয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রী দাতুক সেরি মাহ সিউ কেউং। তিনি জানান, পুনরায় বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে শিগগিরই ঘোষণা দেবেন তাঁরা।
এদিকে গত সপ্তাহে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক রিচার্ড রিউট জায়েম জানিয়েছেন, কর্মী সংকটে ভুগতে থাকা উৎপাদন খাত, নির্মাণ খাত, রাবার ও আসবাবশিল্পের উদ্যোক্তাদের আবেদনের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘বিদেশি শ্রমিকদের বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত। আমি জানি যে শ্রমিকের অভাবে অনেক খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
শ্রমিক আমদানির ব্যাপারে উদ্যোক্তাদের আশ্বাস দিয়ে মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, সরকার তাঁদের বক্তব্য শুনেছে এবং যথাসময়ে এ বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। কিন্তু পরদিনই তা স্থগিতের ঘোষণা দেয় মালয়েশিয়ার সরকার।
এর আগে দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর ২০১৩ সালে বাংলাদেশ থেকে শুধু ‘প্ল্যান্টেশন’ খাতে শ্রমিক নেওয়া শুরু করে মালয়েশিয়া। পরে গত বছর বাংলাদেশকে জনশক্তির জন্য ‘সোর্স কান্ট্রির’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে সেবা, উৎপাদন, নির্মাণসহ অন্যান্য খাতে কর্মী নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করে মালয়েশিয়া সরকার।
বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ বাজার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া। বর্তমানে প্রায় ছয় লাখের বেশি বাংলাদেশি এখানে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।