কুমিল্লায় রিকশাচালকদের কর্মসূচি পণ্ড করে দিল পুলিশ
কুমিল্লা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। পরে রিকশা মালিক-শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধিদল কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।
আজ সোমবার এ কর্মসূচির আয়োজন করে কুমিল্লা মহানগর ডিজিটাল রিকশা মালিক-শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা কুমিল্লা শহরের শিল্পকলা একাডেমি, প্রেসক্লাব ও সিটি করপোরেশন ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার রিকশা মালিক-শ্রমিক জড়ো হয়। পরে তারা কুমিল্লা প্রেসক্লাব ও শিল্পকলা একাডেমির সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করার জন্য দাঁড়ায়। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে আবার একত্রিত হয়ে তারা সিটি করপোরেশন ভবনের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
সিটি করপোরেশনের সামনের রাস্তায় আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে পুলিশ লাইন ও ফৌজধারী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন পুলিশ গিয়ে সেখান থেকেও তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে রিকশা মালিক-শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধিদল সিটি মেয়রের কাছে একটি স্মারক লিপি দেয়।
সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু দাবির বিষয়টি বিবেচনার নেওয়ার আশ্বাস দিলে রিকশা মালিক-শ্রমিকরা সেখান থেকে চলে যায়।
কুমিল্লা মহাগরীতে বৈধভাবে সাড়ে নয় হাজার পায়েচালিত রিকশা চলাচলের অনুমোদন আছে। ওই রিকশাতেই এখন ব্যাটারি লাগিয়ে চালানো হচ্ছে। বর্তমানে কুমিল্লা মহানগরীতে বৈধ ও অবৈধ মিলে পায়েচলিত ও ব্যাটারিচালিত প্রায় ৪০ হাজার রিকশা আছে। এ সব ব্যাটারিচালিত রিকশা মহানগরীতে যত্রতত্র চলাচলের কারণে প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
তাই পুলিশ গত সপ্তাহে যানজট নিরসনে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করতে শহরের বিভিন্ন মোড়ে অভিযান চালায়। ওই অভিযানের কারণে রিকশার মালিকরা ব্যাটারিচালিত রিকশা আর রাস্তায় নামাতে পারছে না। তাই বাধ্য হয়ে কেউ কেউ ইঞ্জিন ও ব্যাটারি খুলে রাস্তায় রিকশা নিয়ে বের হচ্ছে।
পুলিশ রিকশা থেকে ইঞ্জিন ও ব্যাটারি খুলে নেওয়ার নতুন কৌশল অবলম্বন করায় শহরে এখন অনেক কম রিকশা চলছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ১০ টাকার ভাড়া গুনতে হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা।