‘প্রতিবেদন প্রকাশ করায়’ সাংবাদিককে হাতুড়িপেটা
প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় এক সাংবাদিককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সদরের ফুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত সাংবাদিক মো. হাফিজুর রহমানকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাফিজুর রহমান খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক তথ্য এবং সাতক্ষীরার দৈনিক সাতনদী পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি।
সাংবাদিক হাফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি দুপুরে ফুলতলায় প্রধান সড়কের একপাশে আজমিরের চা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে পরিচিতজনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সড়কের ওপারে দাঁড়িয়েছিলেন কালীগঞ্জের কুশুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সুমন। এ সময় চেয়ারম্যান সুমনের মোবাইল ফোন পেয়ে তানভির আহমেদ উজ্জ্বলসহ কয়েক যুবক সেখানে এসেই আমার ওপর হামলা করে।’
‘উজ্জ্বল হাতুড়ি দিয়ে মাথায়, ঘাড়ে ও হাতে আঘাত করে। এ সময় হামলাকারী অন্যদের হাতে রড ছিল। তারা কোনো আঘাত না করেই শুধু আমাকে ঘিরে দাঁড়িয়েছিল। পরে উপস্থিত লোকজন বাধা দিলে হামলাকারীরা চলে যায়।’
কয়েকজন সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে বলে জানান হাফিজুর রহমান। তিনি আরো দাবি করেন, ‘কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদকের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিয়ে সম্প্রতি পত্রিকায় একটি রিপোর্ট করেছি। ওই রিপোর্ট প্রকাশের পর আমি সভাপতির তোপের মুখে পড়ি। ইউপি চেয়ারম্যান সুমন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের ছেলে। বাবার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করায় প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান সুমনের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে আমার ওপর হামলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কালীগঞ্জের কুশুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সুমন বলেন, ‘সাংবাদিক হাফিজের ওপর হামলা হয়েছে বলে কোনো খবর আমার জানা নেই। আপনার কাছ থেকেই শুনছি। যে রিপোর্টের কথা বলছেন, সে রিপোর্টও আমি দেখিনি। খোঁজ নিয়ে দেখুন, আমি সে ধরনের ছেলে নই, যে একজনের ওপর হামলা করব অথবা হামলায় ইন্ধন দেব।’ বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লস্কর জায়েদুল ইসলাম জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি।