ব্লগার রাজীবের খুনি রানা রিমান্ড শেষে কারাগারে
ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি রেদোয়ানুল আজাদ রানাকে দ্বিতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন। এর আগে আদালতে রানাকে তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম তিনদিনের রিমান্ড শেষে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রানার আইনজীবী হাফেজ আহম্মদ জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি রানাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। সেই রিমান্ড শেষে আবার ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ঢাকা মহানগরের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রানাকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এতে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া দুজন হলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দিপু (২২) ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)। যাবজ্জীবন দণ্ড পান মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬)। এঁদের মধ্যে রানা পলাতক ছিলেন। মালয়েশিয়া থেকে ফেরার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে আততায়ীর হাতে নিহত হন রাজীব হায়দার শোভন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ডা. নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পরের বছর ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলায় বিচারের নির্দেশ দেন।